Loading..

প্রকাশনা

১০ জুলাই, ২০২১ ০৬:৫৫ অপরাহ্ণ

@@@ করোনাকালীন শিক্ষা ব্যবস্থা ও করণীয় ★★-★

করোনাভাইরাস, এক বৈশ্বিক মহামারী।বিশ্বব্যাপী এক আতঙ্কের নাম। এই অকোষীয় অণুজীবরে বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন মানবকুল।

৩১ ডসিম্বের ২০১৯ চীনের উহানে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে সমগ্র চীনসহ সারা বিশ্বে ছডিয়ে পরে। ৯ জানুয়ারি ২০২০ এ রোগে প্রথম মৃত্যু হলে ক্রমশ বশ্বিব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। বেঁচে থাকার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় বিশ্ববাসীকে।

এই কড়াল থাবা থেকে মুক্তি পায়নি আমাদরে ছোট্ট এই বাংলাদশে। ৮ র্মাচ ২০২০ প্রথমবাররে মতো ৩ জন কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ায় শুরু হয় সামাজিক দূরত্ব। দেশব্যাপী যখন মুজিবর্ষ পালন করে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু হবে ঠিক তখন ১৭ র্মাচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলো, সাথে লকডাউন ঘোষণা।

ঠিক ৬মাস পূর্বেই আমাদের সবকিছুই ছিলো ব্যস্ত ও প্রাণচঞ্চল। প্রতিদিনের মতো সকাল শুরু হতো ব্যস্ততা নিয়েই। এমন জীবনে অভ্যস্ত আমরা তখনো ভাবতে পারিনি সামনের দিনগুলোতে কি হতে চলছে। কোভিড -১৯ এর  আক্রমণে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ এ দুর্যোগে পুরো পৃথিবীজুড়ে কোটি কোটি মানুষ ঘৃহবন্দী জীবনযাপন করে। ক্ষতির সম্মুখীন হয় অফিস আদালত, শিল্প প্রতিষ্ঠান, ব্যবসাবাণিজ্যসহ নানান খাত।

করোনার প্রভাবে পুরো দুনিয়াজুড়ে যে স্থবিরতা নেমে আসে, তা থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষাব্যবস্থাও। উন্নত দেশগুলোতে অনলাইন মাধ্যম কাজে লাগিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রম এগিয়ে নিলেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেবলমাত্র শ্রেণিকক্ষ ভিত্তিক পাঠদান ব্যাবস্থার নির্ভরশীল হওয়ায় এই স্থবরিতা জেঁকে বসেছে প্রকটরূপে।

আমাদের দেশে শিক্ষার্থী ৪ কোটির উপর। বন্ধ আছে চারটি পাবলকি পরীক্ষা। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চলছে অনলাইন শিক্ষা ব্যাবস্থা।

মহামারীর এই সময়ে শিক্ষার্থীদের যেমন প্রতিষ্ঠানে যাওয়া সম্ভব নয় ঠিক তেমনি সময় নষ্ট করাও ঠিক না। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে র্অথনৈতিক অস্বচ্ছলতা,  ইন্টারনেট সংযোগ না থাকা,  ইন্টারনেট প্যাক বা ডাটার অত্যাধিক দাম ও এর নির্দিষ্ট মেয়াদের জটিলতা, আধুনিক ডিভাইসের অপ্রতুলতা  মুল সমস্যা। 

করোনা কেড়ে নিচ্ছে আমাদরে সময় ও সুযোগ। আমি মনে করি এই শিক্ষাব্যবস্থা এগিয়ে নিতে হলে আমাদরে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রথমত যে বিষয়টি, তা হল অনলাইন ক্লাস। এটি একটি বিকল্প পদ্ধতি, তাই এখানে সবার অংশগ্রহণে ক্লাস করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

সাথে ভালো ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রাম অঞ্চলে কিভাবে অনলাইনে ক্লাস করা নেয়া যায় তা খতিয়ে দেখতে হবে। তাই ভালো গতির ইন্টারনটে সংযোগ এর ব্যবস্থা করা জরুরি।
অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় উপকরণ দিতে হবে এবং র্অথ সহায়তা করতে হবে যাতে তাদের অনলাইন ক্লাস করতে সমস্যা না হয়। ইন্টারনেট প্যাক সাশ্রয়ী করতে হবে যাতে সব স্তরের সেটি ক্রয় ক্ষমতা থাকে। সল্প মূল্যে ইন্টারনটে ব্যাবহাররে সুযোগ পেলে প্রায় সব শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারবে বলে মনে করি।

আমাদের সর্বত্র ৪জি নেটওয়ার্ক পায় না,  এর ফলে অনেকে ক্লাস করতে পারছে না। তাই,  সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে অনলাইন ক্লাস এর রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা করতে হব।যেন যারা ক্লাস করতে পারছে না তারা সংগ্রহ করতে পারে

এনসিটিবি কর্তৃ বই বিতরণ না করে র্বতমান সরকার অনলাইনকে প্রাধান্য দিয়ে ডিজিটাল ডিভাইস আকারে ই- বুক দিলে খরচও কমবে।

র্দীঘদনি বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের অলসতা বাড়ছে, তৈরি হচ্ছে হতাশা। তাই এ সময় অলসতায় না থেকে ব্যস্ত সময়ে কাটাতে হবে। বিভিন্ন আউটসোর্সিং প্রশক্ষিণ,  ভাষা শিক্ষার ক্লাবে যুক্ত হতে হবে।

এছাড়া করোনাকালীন সময়ে অনকে শিক্ষার্থীই মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে, তাই উচিৎ এই সময় জোর তাগিদে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া,  নয়তো প্রতিষ্ঠান খোলার পর সব মিলিয়ে চাপ বাড়তে পারে।

পরিশেষে বলতে চাই, অসম্ভব বলতে কছিুই নেই। শুধুই অপক্ষোর পালা এখন। দুর্বলতা কে শক্তি মনে করলে আমরা মুক্তি পাবো। আমরাই পারবো সেই সোনালী দিনগুলো ফিরিয়ে আনতে। বিশ্বাসই শক্তি

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি