Loading..

খবর-দার

২৯ জুলাই, ২০২১ ০৮:৪৮ অপরাহ্ণ

পদত্যাগ করতে না চাওয়ায় মারধর করা হয় তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে

ক্ষমতাচ্যুত করার পূর্বে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশিকে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ডেকে নিয়ে মারধর করা করা হয়।

মিডলইস্ট আইয়ের এক খবরে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানানো হয়েছে। 

মারধরের পর প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশি কতটা আহত হয়েছেন সংবাদমাধ্যমটি সেটা যাচাই করতে না পারলেও খবরে বলা হয়েছে, ৪৭ বছর বয়সী ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশি বেশ আহত হয়েছেন। তিনি মুখে আঘাত পেয়েছেন। এ কারণে ঘটনার পর তিনি আর জনসম্মুখে বের হননি। 

এর আাগে গত রোববার তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশিকে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ডাকেন। সেখানে তিনি মেশিশিকে পদত্যাগ করতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করতে রাজি না হলে তাকে মারধর করা হয়। এ সময় প্রেসিডেন্ট প্যালেসে তিউনিসিয়ার বাইরের দেশের নাগরিকও ছিলেন। 

মিডলইস্ট আইয়ের খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট প্যালেসে মিশরের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ছিলেন। তারা প্রেসিডেন্টকে অভ্যুত্থানের বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ বা মারধরের সময় মিশরের কর্মকর্তারা কী ধরনের ভূমিকা রেখেছে সেটা জানা যায়নি। 

রোববার রাতেই প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশিকে বরখাস্ত এবং পার্লামেন্ট স্থগিত করেন। সংসদ স্থগিতের পর মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি প্রেসিডেন্টকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। 

এদিকে, ঘটনার পর তিউনিসিয়ায় চরম রাজনৈতিক অসন্তোষ বিরাজ করছে। পার্লামেন্ট স্থগিত করার পর স্পিকার রাশেদ ঘানৌচির ডাকে রাস্তায় নেমে আসেন সরকার-সমর্থকেরা। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট সাঈদ বিরোধীরা এই ঘটনাকে সেনা অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button