Loading..

খবর-দার

২৯ জুলাই, ২০২১ ১০:১৭ অপরাহ্ণ

কাবুল বিমানবন্দর রক্ষার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি তুরস্ক

কাবুল বিমানবন্দর রক্ষা ও নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে তুরস্ক এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এই তথ্য জানিয়েছে। 

খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নিয়ে তুরস্ক আগস্ট মাসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিশনে আরও যেসব দেশ সহায়তা করবে তুরস্ক তাদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। 

বিমানবন্দর এলাকা সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়ে সূত্র জানিয়েছে, গত ৬ বছর যাবৎ আফগানিস্তানে তুরস্ক যেভাবে দায়িত্ব পালন করেছে এবারও সেইভাবে করবে। অর্থাৎ তুরস্কের সেনাদের কাজ হবে শুধুমাত্র বিমানবন্দরের সুরক্ষা দেওয়া। 

সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান ঘোষণা দেন যে, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহারের পর তুরস্ক কাবুল বিমানবন্দরের সুরক্ষা দেবে। এ বিষয়ে তিনি তালেবানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছিলেন। 

এরদোগানের এমন ঘোষণার পর তালেবানরা হুশিয়ারি দেয়, তুর্কি সৈন্যদের কাবুলে রেখে দেওয়া হলে পরিণাম ভালো হবে না। 

আফগানিস্তানে কর্মরত পশ্চিমা কূটনীতিক ও কর্মীদেরকে নিরাপদে দেশটি থেকে বের করে নেওয়ার প্রধান রুট হচ্ছে কাবুল বিমানবন্দর। ন্যাটো ও মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে তালেবানের হাতে বিমানবন্দরটির পতন হতে পারে ভেবে ওয়াশিংটন শঙ্কিত। এ কারণে এটির নিরাপত্তা রক্ষার ওপর বাইডেন প্রশাসন ব্যাপক জোর দিচ্ছে।

তুর্কি সাংবাদিক ইলহান উজগেলের মতে, আঙ্কারা বর্তমানে কাবুল বিমানবন্দর মিশনকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক ফিরিয়ে আনার চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচনা করছে। তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কাবুলে উপস্থিতির মাধ্যমে এরদোগান সরকার এখন বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের প্রয়াস চালাচ্ছে। এজন্য তারা ওয়াশিংটনের জন্য ভালো কিছু করে দেখাতে চায়। আঙ্কারা প্রমাণ করতে চাইছে, তুরস্ক মিত্র হিসেবে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ, যাকে চাইলেই উপেক্ষা করা যায় না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তুরস্কের বর্তমান অবস্থানের সম্ভাব্য ফলাফল দুটি হতে পারে। প্রথমত, তালেবানদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে তুরস্ক। অথবা আফগানিস্তানে শান্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে দেশটিতে প্লেমেকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে আঙ্কারা। 

এরদোগানের বিশ্বাস, ন্যাটোর একমাত্র মুসলিমপ্রধান দেশের পরিচয় ও আফগানিস্তানের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আফগান সরকার ও তালেবানদের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারবেন তিনি।