Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

২২ আগস্ট, ২০২১ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ

উদ্ভাবনের গল্প (শিখন ঘাট্‌তি পূরণের সহজ কৌশল)।

উদ্ভাবনের গল্প

(শিখন ঘাট্‌তি পূরণের সহজ কৌশল)

করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘ দিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে গিয়েছে। অনেকে যা শিখেছিল সবই ভুলে গিয়েছে। বিশেষ করে গ্রামের শিক্ষার্থীদের বইয়ের সাথে সংযোগ নেই। আমরা যদি ও অনলাইন ক্লাস, গুগল মীটে ক্লাস, সংসদ টিভিতে ক্লাস, রেডিওতে ক্লাস, ওয়ার্কশীট বিতরন, শিক্ষার্থীর বাড়ি বাড়ি গমন ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের শিখন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাদের সকলকে এগুলোর সাথে যুক্ত করতে পারিনি। এই অবস্থায় বিদ্যালয় খোলার পর তাদের শিখন ঘাট্‌তি পূরণ করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। তাই শিখন ঘট্‌তি যাতে সহজে পূরণ করা যায় সেজন্য আমি একটি পরিকল্পনা করেছি। আমার পরিকল্পনাটি হচ্ছে- বিদ্যালয় খোলার পর শিক্ষার্থীদের আমরা রিডিং পড়ার উপর বেশি গুরুত্ব দিব। বিদ্যালয়ে এবং বাড়িতে শুধু রিডিং পড়তে ও দেখে দেখে লিখতে বলবো। কারণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেখে দেখে পড়তে ও লিখতে পারলে তাদের সকল যোগ্যতা অর্জন হয়ে যায়। ১ম, ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বর্ণ শেখা, যুক্তবর্ণ শেখা এবং শব্দ বানান করতে শেখার উপর গুরুত্ব দিতে  হবে। ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সকল বিষয় দেখে দেখে পড়তে ও লিখতে সেখাতে হবে। সেজন্য আগে শিক্ষক প্রমিত উচ্চারনে পড়ে শুনাতে হবে তার পর শিক্ষার্থীদের পড়তে দিতে হবে। পাঠ্য পুস্তকের পাঠ অনুশীলনগুলো শুধুমাত্র বুঝিয়ে দিতে হবে। বাড়ির কাজ হিসেবে শুধু রিডিং পড়া ও দেখে দেখে লেখা থাকবে। প্রতিদিন সকল শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রিডিং পড়া নেওয়া সম্ভব নাহলে রোল নম্বর অনুযায়ী তালিকা তৈরি করে একদিন ১-১০ রোল শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পড়া ও লেখা নিতে হবে। পরবর্তী দিন ১১-২০ এইভাবে শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীকে রিডিং পড়ার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যারা পড়তে পারবেনা তাদের রোল নং চিহ্নিত করে রাখতে হবে। তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। আমার এই আইডিয়াটি অনুসরণ করলে আশা করি আমরা শিখন ঘাট্‌তি সহজে পূরণ করতে সক্ষম হবো।