Loading..

খবর-দার

২৪ আগস্ট, ২০২১ ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারনেট গতিতে ১৩৯ দেশের মধ্যে ১৩৫ নম্বরে বাংলাদেশ

    ইন্টারনেট গতিতে ১৩৯ দেশের মধ্যে ১৩৫ নম্বরে বাংলাদেশ

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। গতবারের মতো এবারও বাংলাদেশ ১৩৫ নম্বরে। তবে গত প্রতিবেদনে ১৩৭টি দেশের মধ্যে ১৩৫তম ছিল, আর এবার ১৩৯টি দেশের মধ্যে। বিশ্বের নানা দেশের গড় ইন্টারনেট গতির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে ওকলা নামের প্রতিষ্ঠান। এক মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে পরবর্তী মাসের মাঝামাঝি প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে ইন্টারনেটের এই দুর্বল গতির জন্য স্পেকট্রামের স্বল্পতা আর নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিদ্ধান্তহীনতাকে দায়ী করছে মোবাইল অপারেটররা। গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে তারা এই দাবি করেন।

গত জুলাইয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতি ছিল সেকেন্ডে ১২ দশমিক ৬ মেগাবিট (এমবিপিএস), যা আগের মাসের (১২ দশমিক ৪৮ এমবিপিএস) চেয়ে সামান্য বেশি। আপলোডের গড় গতি অবশ্য কিছুটা কমেছে। জুলাইয়ে ৭ দশমিক ৬৫ এমবিপিএস ছিল, আর জুনে ছিল ৭ দশমিক ৯৮ এমবিপিএস। ওকলার মোবাইল ইন্টারনেট গতির তালিকায় বাংলাদেশের পর আছে আর চারটি দেশ। জিম্বাবুয়ে, ফিলিস্তিন, ভেনেজুয়েলা ও আফগানিস্তান। আফগানিস্তান গত প্রতিবেদনে ১৩৭টি দেশে ১৩৭তম ছিল। নতুন প্রতিবেদনেও সবশেষে ১৩৯টি দেশের মধ্যে ১৩৯তম অবস্থানে। বাংলাদেশের সামনে থাকা চারটি দেশ হলো সোমালিয়া ১৩৪তম, ঘানা ১৩৩তম, তানজানিয়া ১৩২তম ও সুদান ১৩১তম।

ওকলার প্রতিবেদনে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতির তালিকায় শীর্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটিতে জুলাইয়ে ডাউনলোডের গতি ছিল ১৯০ এমবিপিএস। আর আপলোডের গতি ছিল ২৬ দশমিক ৫৪ এমবিপিএস। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ডের তালিকায় শীর্ষ দেশ মোনাকো। দেশটির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গড় গতি ২৫৬ দশমিক ৭ এমবিপিএস এবং আপলোডের গড় গতি ছিল ১৫৬ এমবিপিএসের সামান্য বেশি। মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ডাউনলোড গতির বৈশ্বিক গড় যথাক্রমে ৫৫ দশমিক শূন্য ৭ এবং ১০৭ দশমিক ৫ এমবিপিএস।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসাবে, জুন মাস শেষে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯ লাখে। একই হিসাবে ব্রডব্যান্ডের গ্রাহকসংখ্যা ১ কোটির কিছু বেশি। সূত্র,২৩ আগষ্ট, ভোরের কাগজ।