Loading..

প্রকাশনা

২৯ জুলাই, ২০১৫ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শিখন শেখানো কার্যক্রমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লেখকঃ চরিত্রবান সমাজপতি, বি. এস-সি (অনার্স) এম.এস-সি (রসায়ন) বি.এড (প্রথম শ্রেণি), সহকারী শিক্ষক, জৈন্তাপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, সিলেট।
বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে এগিয়ে যেতে হলে শিখন শেখানো কার্যক্রমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার দ্রুত সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। বর্তমান বিশ্ব আলোর গতিতে এগিয়ে চলেছে। তাই দ্রূত সমৃদ্ধ হচ্ছে জ্ঞান ও দক্ষতার ভান্ডার এবং দ্রূত পরিবর্তিত হচ্ছে শিখন শেখানো কার্যক্রমের । শিখন শেখানো কার্যক্রমে আধুনিক শিক্ষা প্রযুক্তি কম্পিউটার , ল্যাপটপ, প্রজেক্টর , ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যতিত দ্রূত সমৃদ্ধ এই জ্ঞান ও দক্ষতার ভান্ডার শ্রেণিকরণ করে জ্ঞান ও দক্ষতার উচ্চস্তর অর্জন করা সম্ভব নয়। নতুন তথ্য , তত্ত্ব, জ্ঞান ও দক্ষতা প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে যার ফলে শিক্ষার ক্ষেত্র ও পরিধির বিস্তার ঘটছে। যার ফলে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যক্রম বার বার পরিবর্তন হচ্ছে। তাই বিশ্বের সাথে এগিয়ে চলতে হলে দ্রূত জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। তাই আগামী প্রজন্মকে দ্রূত জ্ঞান ও দক্ষতায় বিকশিত করার জন্য সর্বাগ্রে বিষয়জ্ঞান ও শিক্ষা প্রযুক্তিতে শিক্ষকদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে বিকশিত ও প্রকাশিত করতে হবে। কথায় আছে “ যেমন গুরু তেমনি তার শিষ্য”। তাই শিক্ষকদের পর্যাপ্ত জ্ঞান ও প্রযুক্তির দক্ষতা না থাকলে শিক্ষার্থীর অর্জন সম্ভব নয়। পরিবর্তনশীল বিশ্বে শিক্ষকদের দ্রুত নিজেকে সমৃদ্ধ করতে হবে। বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে ইতিবাচক নতুনত্বকে গ্রহণ করতে হবে এবং নেতিবাচক বিষয়কে বর্জন করতে হবে। বর্তমান যুগের শিক্ষা অর্জনের অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে কম্পিউটার, ইন্টারনেট। তাই সকল শিক্ষকের কম্পিউটার ও ইন্টারনেট বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা আবশ্যক। ছক ডাস্টার থেকে হোয়াইট বোর্ড এখন আবার কম্পিউটার-প্রজেক্টর, ইন্টারনেট। লেকচার পদ্ধতি/শিক্ষককেন্দ্রিক থেকে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক/অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি যেমন- একক কাজ , জোড়ায় কাজ, দলীয় কাজ, ম্যাইন্ডম্যাপিং, পোষ্ট বক্স , ভূমিকাভিনয় ইত্যাদি বিভিন্ন পদ্ধতি। এটাই হচ্ছে পরিবর্তনের ধারা। শিক্ষার ক্ষেত্রে শিখন শেখানো কার্যক্রমের এই ধারাবাহিক পরিবর্তন শিক্ষকরা যত দ্রুত গ্রহণ করতে পারবে ততই শিক্ষার্থীর জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশ দ্রুত গঠবে। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হলে ব্যবহারিক কাজের বিকল্প নেই। তাই শিক্ষকদের ব্যবহারিক কাজের জ্ঞান ও দক্ষতার সম্মৃদ্ধি ঘটিয়ে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সুনিদিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে ব্যবহারিক ক্লাস করাতে হবে তবেই শিখন শেখানো কার্যক্রমে সত্যিকারের পরিবর্তন ঘটবে এবং শিক্ষার্থীদের সঠিক জ্ঞান ও প্রযুক্তির দক্ষতার বিকাশ ঘটবে। যার ফলে শিক্ষার্থীর মন ও মানসিকতায় সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে এবং যার মাধ্যমে প্রতিষ্টিত হবে উন্নয়ন ও সম্মৃদ্ধির ডিজিটাল বাংলাদেশ।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি