Loading..

প্রকাশনা

১৮ এপ্রিল, ২০২২ ০৭:০৬ পূর্বাহ্ণ

রমজানুল মোবারক: প্রার্থনাকারীকে ক্ষমা করে দেন আল্লাহ

প্রথম দশকে আল্লাহতায়ালা রহমত করুণার দ্বার খুলে দিয়েছিলেন। দশকে তিনি অবারিত করে দিয়েছেন তাঁর মাগফিরাত অর্থাৎ ক্ষমার ভাণ্ডার। দয়াময় তিনি ক্ষমার পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

অগণিত, অসংখ্য পাপী-তাপীকে তিনি মাগফিরাত নামের মহাসাগরে ভাসিয়ে পৌঁছে দেবেন তার কাঙ্ক্ষিত মঞ্জিলে-মুক্তির মোহনায়। দয়াময় মানুষকে সৃষ্টি করেছেন প্রেম আর ভালোবাসা দিয়ে। তিনি চান না তাঁর কোনো বান্দা জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হোক, তিনি চান তাঁর প্রত্যেক বান্দাকে রমজানের দ্বিতীয় দশকে মাগফিরাতের মধুর ঝরনা ধারায় স্নান করাতে।

তিনি প্রতিদিন সেহরির আগ মুহূর্তে দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমান থেকে দরদভরা ঘোষণায় আহ্বান করতে থাকেন, আছো কি কেউ ক্ষমা প্রার্থনাকারী! ক্ষমা প্রার্থনা করো, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব। হাদিসে এসেছে, শেষ রজনীতে আল্লাহর রহমতের সাগরে জোয়ার সৃষ্টি হয়, যার ফলে সে সময় প্রতিটি ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে তিনি ক্ষমা করে দেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ দয়াময়-ক্ষমাশীল, তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন।

মানুষ ভুল করবে, গোনাহ করবে, এটাই স্বাভাবিক; কিন্তু রাসুল (সা.) বলেন, তবে উৎকৃষ্ট হলো ওই ব্যক্তি, যে পাপ করা মাত্রই ক্ষমা প্রার্থনা করে। অন্য হাদিসে আছে, মানুষ গোনাহ করলে তার অন্তরে একটা কালো দাগ পড়ে, আর তওবা করলে সে দাগ মুছে যায়; তা না হলে সে দাগ থেকে যায়। এভাবে দাগ পড়তে পড়তে তার অন্তর রাজ্য অন্ধকারে ভরে যায়, সেখানে আলো বলতে আর কিছুই থাকে না; ফলে ওই ব্যক্তি তখন পাপকে আর পাপ মনে করে না। ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহতায়ালা সীমাহীন খুশি হন। খুশির ফল হিসাবে তিনি সে বান্দাকে মাফ করে দেন এবং তাকে অনেক বেশি কাছে টেনে নেন।

রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করবে আল্লাহর পক্ষ থেকে শত অভাবেও তার জন্য রাস্তা খুলে যাবে, তার দুশ্চিন্তা দূর হবে আর সে এমনভাবে রিজিক প্রাপ্ত হবে, সে কল্পনাও করতে পারবে না। ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহ গোনাহতো মাফ করেনই, অধিকন্তু এতে তার মর্যাদাও বৃদ্ধি পায়।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি