সন্তোষ কুমার বর্মা
সহকারী শিক্ষক
১৯ মে, ২০২২ ০৮:২৪ অপরাহ্ণ
আজ পরপারে চলে গেলেন 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি,"একুশে ফেব্রুয়ারি "গানের রচয়িতা কিংবদন্তি সাংবাদিক,প্রতিযশা কলামিস্ট ও প্রগতিশীল লেখক আব্দুল গাফফার চৌধুরী।
আজ পরপারে চলে গেলেন! ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা কিংবদন্তি সাংবাদিক,প্রতিযশা কলামিস্ট ও প্রগতিশীল লেখক(সাহিত্যিক) আবদুল গাফফার চৌধুরী। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আব্দুল গাফার চৌধুরীর সংক্ষিপ্ত জীবন বিবরণঃ-১৯৩৪ সালের ১২ই ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়ার চৌধুরীবাড়ীতে বাবা হাজী ওয়াহিদ রেজা চৌধুরীর ঘর আলোকিত করে,মা জহুরা খাতুনের কোলজুড়ে আসেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী।
১৯৭0 সালে 'দৈনিক ইনসাফ' পত্রিকা সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।১৯৫১ সালে 'দৈনিক সংবাদ'পত্রিকা হলে সেখানে তিনি অনুবাদকের কাজ নেন।
অপরদিকে মাসিকসওগাত,দিলরুবা,মেঘনা,ইত্তেফাক,আজাদ, জেহাদ ও পূর্বদেশসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন বরেণ্য এ সাংবাদিক।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সপরিবারে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আগতলা হয়ে কলকাতা পৌঁছান ও সেখানে মুজিবনগর সরকারের মুখপাত্র সাপ্তাহিক 'জয়বাংলা' পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন।এ সময় তিনি কলকাতায় দৈনিক আনন্দবাজার ও যুগান্তর পত্রিকায় কলামিস্ট হিসেবেও কাজ করেন।বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে 'দৈনিক জনপদ' নামে এক পত্রিকা বের করেন।
১৯৭৩ সালে আব্দুল গাফফার চৌধুরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সঙ্গে আলজিয়ার্সে ৭২ জাতি জোট সম্মেলনে যান।দেশে ফেরার পার তাঁর স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হলে তাঁকে প্রথমে কলকাতায় কিছুদিন চিকিৎসা করান।সেখানে সুস্থ না হওয়ায় তাঁকে নিয়ে ১৯৭৪ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনে চলে যান ও এরপর থেকে তাঁর প্রবাসজীবন শুরু হয়।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প,উপন্যাস,স্মৃতিকথা ও ছোটদের উপন্যাস লিখেছেন।'চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান','সম্রাটের ছবি','ধিরে বহে বুড়িগঙ্গা',বাঙালি না বাংলাদেশী',সহ তাঁর লেখা প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩০।এছাড়াও তিনি পূর্ণাঙ্গ নাটক লিখেছেন এর মধ্যে আছে 'পলাশী থেকে ধানমন্ডি','একজন তাহমিনা',ও 'রক্তাক্ত আগস্ট'।
কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন গাফফার চৌধুরী।এর মধ্যে ১৯৯৩ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার,বাংলা একাডেমি পদক,একুশে পদক,শেরে বাংলা পদক,বঙ্গবন্ধু পদকসহ আরও অনেক পদকে ভূষিত হয়েছেন।