Loading..

খবর-দার

২২ জুন, ২০২২ ১১:৫২ অপরাহ্ণ

শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত, আগামী সপ্তাহে যাবে মন্ত্রিপরিষদে

শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত, আগামী সপ্তাহে যাবে মন্ত্রিপরিষদে

শিক্ষা আইন-২০২১ খসড়া চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী সপ্তাহে সেটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। আইনের খসড়ায় নতুন করে ভাষাগত কিছু সংযোজন-বিয়োজন করে সেটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। 

বুধবার (২২ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক।

সভা সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা আইনের সঙ্গে শিক্ষার অন্যান্য আইন ও নীতিমালার সঙ্গে অসংগতি রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে মন্ত্রিপরিষদ থেকে যাচাই করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। তার ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব প্রতিষ্ঠানে লিখিতভাবে তা জানাতে বলা হয়। সেটি পাঠানোর পর বুধবার এ আইন চূড়ান্তকরণে সভা করা হয়। সভায় সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে নতুন করে কিছু ভাষাগত সংযোগ-বিয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আইন ও নীতিমালার সঙ্গে কোনো অসংগতি রয়েছে কি না, তা সব প্রতিষ্ঠানের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তাদের কাছে লিখিত মতামত পাওয়ার পর আইন চূড়ান্ত করা হয়েছে। নতুন করে কিছু ভাষাগত সংযোগ-বিয়োজন করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সেটি আবারও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, আইনে যা আছে তা দিয়ে শিক্ষার সবকিছু পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এমন অনেক বিষয় খসড়া আইনে উল্লেখ নেই। যা আছে তা সবকিছু অন্যান্য আইন ও নীতিমালায় নির্দেশনা দেওয়া আছে।

প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে নোট-গাইড নিষিদ্ধের কথা বলা হলেও বৈধতা দেওয়া হচ্ছে সহায়ক বই।

এ বিষয়ে শিক্ষাবিদরা বলছেন, নোট-গাইড আর সহায়ক বইয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এ আইন পাস হলে নিষিদ্ধ নোট-গাইডগুলো সহায়ক বই নামে চলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কোচিং আর সহায়ক বই বৈধতা পেলে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এটি হবে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের নোট বই বা গাইড বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করা যাবে না। কেউ এ বিধান লঙ্ঘন করলে অনূর্ধ্ব তিন বছর কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়া কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কোনো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নোট বই, গাইড বই ক্রয় বা পাঠে বাধ্য করলে বা উৎসাহ দিলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, ব্যবস্থাপনা কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। তবে সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সহায়ক বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ ও বাজারজাত করা যাবে।