সহকারী অধ্যাপক
২৯ জুন, ২০২২ ০৭:৩১ অপরাহ্ণ
সংসদে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার কারণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী
সংসদে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার কারণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,
বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২০ লক্ষ মেট্রিক টন। এর মধ্যে দেশে
উৎপাদন হয় মাত্র ২ লক্ষ মেট্রিক টন। অবশিষ্ট ১৮ লক্ষ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল আমদানি
করে ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ করা হয়। তাই আমদানি নির্ভর এ ভোজ্যতেলের আন্তর্জাতিক
বাজারে দাম বাড়লে দেশিয় বাজারেও এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশ যে সব দেশ
থেকে ভোজ্যতেল আমদানি করে থাকে সে সব দেশে কোন কারণে পণ্য আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা
সৃষ্টি হলে দেশীয় বাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। আর এ কারণেই ভোজ্যতেলের বাজার
অস্থিতিশীল হয় বলে জানান তিনি।
বুধবার (২৯ জুন) জাতীয় পার্টির এমপি
সৈয়দ আবু হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি জানান, যুদ্ধ, বন্যা, খরা,
জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেও পণ্যের উৎপাদন
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হলে ঘাটতি দেখা দেয়। সাম্প্রতিককালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের
ফলে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে পণ্য আমদানিতে সংকট তৈরি হয়েছে। তাই রাশিয়া-ইউক্রেন
যুদ্ধের কারণে আমদানি নির্ভর পণ্যের মূল্যও বেড়ে গেছে। একই কারণে সাম্প্রতিক সময়ে
ভোজ্য তেলের দাম বেড়ে গেছে। তবে সরকার বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম নেবার ফলে নিত্য
প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিত্যপণ্যসহ সকল
পণ্যের মূল্য নিয়ে কেউ যেন মনোপলী নবা অলিগোপলী অবস্থার সৃষ্টি করতে না পারে সে
জন্য বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা কমিশনের সৃষ্টি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিযোগিতা কমিশন
সম্প্রতি ৮টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ মোতাবেক মামলা দায়েল
করেছে।
তিনি জানান, এছাড়া ভোজ্য তেলসহ
নিত্যপণ্যের বাজার সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রণালয় দ্রব্যমূল্য
পর্যালোচনা ও পূর্বাভাষ সেল গঠন করেছে, এর মাধ্যমে প্রতিদিন বাংলাদেশ ব্যাংক,
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ট্রেড এ- ট্যারিফ কমিশন, টিসিবি এবং কৃষি বিপনন
অধিদপ্তর থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ মূল্য পরিস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য
সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং বাজার পরিস্থিতি
পর্যালোচনার জন্য ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রী ও বাণিজ্য সচিব বৈঠক
করেছেন।
প্রতিদিন ৪টি করে সপ্তাহে মোট ২৮টি
বাজার মনিটরিং টিম ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারের মুল্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ
করছে, প্রতি মাসে সারা দেশে ৩০০ এর অধিক বাজার পরিদর্শন মূলক অভিযান পরিচালনা
করছে, সমগ্র জেলা-উপজেলা প্রসাশক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নেতৃত্বে
ট্রাস্কফোর্স কমিটি মাসিক বৈঠক করছে। তিনি জানান, এছাড়া পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে
২২ জুন থেকে সারা দেশে টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি পরিবারের মধ্যে ২ লিটার সোয়াবিন
তেল, ১ কেজি চিনি, ২ কে জি মশুর ডাল সাশ্রয়ী দামে বিক্রির কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে
দেশে নিত্য পয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে। ২৯ জুন।