Loading..

ম্যাগাজিন

২২ অক্টোবর, ২০১৫ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

একজন জয়ীতা’র গল্প।

বাঙ্গালী নারী, একজন স্ত্রী, মা, গৃহিনী। একাধারে তিনটি ভূমিকায়। সকলের বিশ্বাস- নারী ঘরে থাকবে, রান্না করবে, নিজ ধর্ম পালন করবে, সন্তানদের শিক্ষাদান, লালন-পালন করবে, সর্বোপরি সংসার দেখাশুনা করবে। আজ এমনই একজন জয়ীতার কথা বলবো, যিনি উপরোক্ত সকল দায়িত্ব পালন শেষে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে পরিবারে অর্থ সংস্থান করছেন। চট্টগ্রাম শহরের মোহরা যাওয়ার পথে কালুরঘাটের পূর্ব পাড়ে সিএনজি’তে অপেক্ষায় আছি ওয়ান-ওয়ে পথে সিগন্যালের। এমনিতেই কালুরঘাটের পূর্বাংশে গাড়ীর জ্যামে যত অন্ধ-ফকির-হিজড়াদের ভিড়। সেখানেই রাস্তার পাশে এক নারী লাকড়ির চুলা জ্বালিয়ে ভাঁপা পিঠা তৈরি করে, সিদ্ধ ডিমসহ বিক্রি করছে। নিকটে একটি ছোট্ট শিশু ময়লা নিয়ে খেলছে। বোরখা পরা এক বৃদ্ধাকে পাশে বসে থাকতে দেখলাম। পরে জানলাম শিশুটি তার সন্তান, আর বৃদ্ধা হল শাশুড়ী। নারীটির স্বামী সমুদ্রপথে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে বছর দু’এক পূর্বে। অদ্যাবদি কোন খোজ নেই। তাই সংসারের ভার তাকেই বইতে হচ্ছে। স্বপ্ন দেখে একমাত্র পুত্র সন্তানের সুন্দর আগামীর। এ সমাজে এখনো এমনও জয়ীতা’রা আছে, যারা জীবিকার জন্য এই ধরনের কাজ করতেও দ্বিধা করছেনা। ভিক্ষা করে নয় বরং আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমেই আত্মতৃপ্তি লাভ সম্ভব। স্যালুট জানাই সেই জয়ীতা’কে।

 

লেখক-

মো: আবদুস ছোবাহান ভূঁঞা

শিক্ষক, কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয়

বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।

মোবাইল: ০১৮১৭৭০৬৪৫৪

ই-মেইল: [email protected] 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি