Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১৮ এপ্রিল, ২০১৮ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

mukto paath

২০২১ সালের মধ্যে বিপিও খাতে কর্মসংস্থান এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে

 

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে বিজনেস প্রসেসিং আউটসোর্সিং বা বিপিও খাতে কর্মসংস্থান এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাত থেকে রপ্তানি ৮০০ ডলার অতিক্রম করেছে। তথ্য প্রযুক্তিতে বিপিও খাতে কর্মসংস্থান দ্রুত বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তরুণদের এখন চাকরি নিয়ে ভাবতে হবে না। তথ্য প্রযুক্তি খাত তাদের বিপুল আয়ের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে শেখাবে। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বিপিও সামিটের উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের এ খাতের অবস্থানকে তুলে ধরা। ২০০৯ সালে বাংলাদেশে এই খাতে মাত্র ৩০০ কর্মী ছিল, এখন তা ৪০ হাজারের উপরে অবস্থান করছে। আশা করা হচ্ছে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে এ খাতে এক লাখ কর্মসংস্থান হবে। তিনি আরও বলেন, তথ্য প্রযুক্তি খাত থেকে ১০ বছর আগে বছরে আড়াই কোটি ডলারের সমান রপ্তানি করতো। এখন সেটা ৮০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। শুধু আউটসোর্সিং থেকে আয় হচ্ছে ৩০ কোটি ডলারের বেশি। এখন বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তিতে বিশ্বে যোগ্যতা ও দক্ষতার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে যাচ্ছে।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, যুবসমাজের চাকরির জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। বর্তমান সরকারের সঠিক পরিকল্পনা ও দিক-নির্দেশনার কারণে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থানের অবারিত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছ। মফস্বল শহরে বসে ছেলে মেয়েরা এখন আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে হাজার হাজার ডলার আয় করছে। জেলা ও উপজেলায় বিদ্যুতের নিশ্চয়তা ও উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ায় এটা সম্ভব হচ্ছে। দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাত বর্তমান সরকারের আমলে কম সময়ে অনেক বেশী অগ্রগতি অর্জন করার কারনেই এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশ এখন বাংলাদেশ থেকে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে সহায়তা চায়।

তরুণদের তথ্য প্রযুক্তির দক্ষতা ও আগ্রহের পিছনে শিক্ষকদের শিক্ষক বাতায়নে আনাগোনা ছাত্র-ছাত্রীদের সাহস যুগিয়ে যাচ্ছে । যেহেতু শিক্ষকরা কম্পিউটারে দক্ষ হচ্ছেন সংগত কারণেই ছাত্ররাও কম্পিউটারে দক্ষ হচ্ছে তার ফলে যুবকরা  আউটসোর্সিং মুখী হচ্ছে । যদি প্রতিটি ক্লাস পাওয়ার পয়েন্টের আওতায় আনা যায় তাহলে তরুণরা আরো সামনে এগিযে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাবে ।

বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানী ইন্টারনেট অফার দিয়ে থাকে কিন্তু তা নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ভ্যালেডিটি থাকে না । এটুআই কর্তৃপক্ষের নিকট আরজ ইন্টারনেটের মেয়াদ অন্তত ১ বছর করা হউক ।এতে ডিজিটাল প্রোগ্রাম আরো ফলপ্রসু হবে ।

 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি