Loading..

খবর-দার

২৮ নভেম্বর, ২০১৮ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

স্কুলে পৌঁছে গেছে নতুন বছরের ২৭ কোটি পাঠ্যবই

শিক্ষক বাতায়ন ডেস্ক ||

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল হল ৩০ ডিসেম্বর। আর একদিন পর ১ জানুয়ারি উদযাপিত হয় দেশব্যাপী পাঠ্যপুস্তক উৎসব। নির্বাচনের মাত্র একদিন পর বিনামূল্যের পাঠ্যবই তুলে দিতে হবে সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের চার কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার শিক্ষার্থীর হাতে। আর মাত্র মাসখানেক পরই ফুরোবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতীক্ষার পালা। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে তারা হাতে পাবে ঝকঝকে নতুন পাঠ্যবই। তার সোঁদা গন্ধে মাতোয়ারা হবে তারা। উল্লাস করে ফিরবে বাড়িতে।

এ লক্ষ্যে গত ২৫ আগস্ট থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সারাদেশের প্রথম থেকে নবম শ্রেণিপড়ূয়া ছাত্রছাত্রীর জন্য ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২ কপি পাঠ্যবই ছাপাতে শুরু করে। মাত্র তিন মাসে ৮৫ ভাগ পাঠ্যবই ছাপা হয়ে পৌঁছে গেছে স্কুলে স্কুলে। তাই ১ জানুয়ারি পাঠ্যবই উৎসব নিয়ে কারও মধ্যে কোনো শঙ্কা নেই।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা মঙ্গলবার বলেন, ‘পাঠ্যবই নিয়ে এবারও কোনো শঙ্কা নেই। ৮৫ শতাংশ বই ছাপা হয়ে চলে গেছে জেলা ও উপজেলায়। বিদ্যালয়ে সেগুলো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শিশুদের মাঝে বিতরণের জন্য বিদ্যালয়েই সেগুলো সংরক্ষণ করা হচ্ছে।’চেয়ারম্যান জানান, তাদের হাতে যেটুকু সময় এখনও আছে, তাতে বাকি ১৫ শতাংশ বইও যথাসময়ে পৌঁছে যাবে।

জানা গেছে, ৩৫ কোটি ২১ লাখ বই ছেপে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দিতে কাজ করছে ১৬ হাজার ৪০০টি ট্রাক। দেশজুড়ে পাঠ্যবই মুদ্রণ ও পরিবহন কাজের তদারকি করতে কাজ করছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ২২টি টিমের ৬৬ কর্মকর্তা। এর বাইরেও এনসিটিবির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মনিটরিং টিম, এনসিটিবির কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম মিলিয়ে আরও ২১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী শ্রম দিচ্ছেন এই মহাযজ্ঞে।

এবার আগেভাগেই বেশিরভাগ পাঠ্যবই ছাপা হয়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছে যাওয়ায় অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে এখন খুশির ঝিলিক।

 

সূত্র || শিক্ষাবার্তা ডট কম ||