Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

উদ্ভাবনী ভিডিও- স্বপ্ন উড়ান,

স্বপ্ন তা যা মানুষ চোখ খোলে দেখে। স্বপ্ন মানুষকে আগামীর এগিয়ে চলার পথ দেখায়। আমারো কিছু স্বপ্ন আছে, এই স্বপ্ন গুলোই আমায় এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা দেয়। উন্নত বিশ্বে শিক্ষা ব্যবস্থাকে চার দেয়ালে আবদ্ধ করে রাখেনি। শিক্ষা এখন খোলা আকাশ। এই আকাশেই ঘুড়ে বেড়ায় হাজারো রকম স্বপ্ন। এই হাজারো স্বপ্নের ভেতর আমার “স্বপ্ন উড়ান”।

দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য, আর এর জন্য প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, কারিকুলাম এবং তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মানসম্মত শিক্ষা। এই মানসম্মত শিক্ষাকেই সকলের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর পাঠদান নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য।

এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল মানসম্মত শিক্ষার ৩টি মূল উপাদান হিসাবে নির্ধারণ করেছে তা হলো –

১। মানসম্মত শিক্ষক                         ২। মানসম্মত শিক্ষা উপকরণ ও                        ৩। মানসম্মত পরিবেশ নির্ধারণ

আমি আমার স্বপ্ন ঊড়ানে উক্ত বিষয়গুলোর উপরই প্রাধান্য দিয়ে নিজেকে একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষক হিসেবে তৈরি করে চলেছি প্রতিনিয়ত। একারণেই শ্রেণিকক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষাকে বাস্তবভিত্তিক করে তুলতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।   

শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক বাতায়ন, মুক্তপাঠ, কিশোর বাতায়নসহ বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছি। ই-লার্নিং, আই কেন রিড, ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সি ডেভেলাপমেন্ট প্রোগ্রাম, এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে জ্ঞানার্জন করে যাচ্ছি যা আমার পাঠদানকে ফলপ্রসূ করে তুলছে।

পূঁথিগত বিদ্যা, শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে ব্যবহারিক কাজ, কো-কারিকুলার এক্টিভিটিতে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই এক জন শিক্ষার্থী সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ করতে আমি তথ্য প্রযুক্তি সাথে নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছি। সারাদেশের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে তৈরি করে চলেছি অনলাইন ভিত্তিক ডিজিটাল ক্লাস।

এ লক্ষে প্রতিনিয়ত অভিভাকদের সাথে যোগাযোগ ও তাদের সুচিন্তিত মতামতকে গ্রহণ করে চলেছি।  

গুণগত এবং একিভূত শিক্ষা এখন বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় আমাদের টিকে থাকতে হলে বিশ্বায়িক চ্যালেঞ্জ অর্জন করতে হবে। এ লক্ষ্যেই আমার প্রচেষ্টা যা ২০৪১ সাল নাগাদ এক উন্নত শিক্ষা কার্যক্রমে রুপান্তরিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এজন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। ধন্যবাদ ।