Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

২৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

"স্বপ্নের স্কুল গড়ি, নিজেকে দিয়ে শুরু করি"

মো: মাহমুদুল হক
সহকারী শিক্ষক ও শিফট ইনচার্জ (দিবা)। পাবনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, পাবনা সদর, পাবনা।
আমি প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই এটুআই এর কর্মকর্তাদের-
“স্বপ্নের স্কুল গড়ি নিজেকে দিয়ে শুরু করি” - এই
ম্লোগানটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।

যার জন্য সকল শিক্ষকদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে নতুন অনুপ্রেরণা।
২০১৮ সালের উন্নয়ন মেলায় জেলা শিক্ষা অফিসার যখন আমাকে বলেছিল একটি ড্রীম স্কুল এর মডেল তৈরি করার জন্য, তখন
  আমি একটি মডেল তৈরি করি এবং  স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। সেই থেকে আর থেমে  নেই কাজ করে যাচ্ছি সকলকে নিয়ে-এক্ষেত্রে আমার সহকর্মী এবং শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে পাচ্ছি সার্বিক সহযোগীতা। যার মধ্যে রয়েছে- সকল শিক্ষাকের ল্যাপটপের ব্যবস্থা, প্রোজেক্টারের মাধ্যমে পাঠ দান,   বিভিন্ন দিবসে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে উৎসাহী করা, শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করা, সকল শিক্ষককে প্রোজেক্টর ব্যবহারে উৎসাহী করা। নাচ, গান, আবৃত্তি, বির্তক, কুইজ প্রতিয়োগীতার আয়োজন করা, বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করা, স্কুলকে পরিষ্কার রাখা, স্কুল আঙ্গিনায় বাগান করাসহ নানা ধরনের কর্মকান্ড।  
উদাহরণ হিসেবে আমি বলতে পারি গত স্বধীনতা ও বিজয় দিবসের ডিস-প্লেতে প্রথম স্থান অর্জন, উন্নয়ন মেলার কুইজএ প্রথম স্থান অর্জন, জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হওয়ার গৌরব অর্জন, ৪৮ তম শীতকালীন খেলাধুলায় ভলিবল এবং টেবিল টেনিসে বিভাগে চ্যাম্পিয়ন, ক্রিকেটে উপজেলার সেরা বিভিন্ন সময়ে বির্তকে জেলার সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন।
 জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৮ এ জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয় আমার প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটি, প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে এ পর্যন্ত সকল পাবলিক পরীক্ষার পাসের হার শতভাগ।
প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে আমার বর্তমান স্বপ্ন ফলাফলের দিক থেকে বিভাগে সেরা হওয়া। এর পর পর্যায়ক্রমে দেশের মধ্যে সেরা হওয়া।
আমার প্রতিষ্ঠানটি যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে আশা করি তা খুব দ্রুতই সম্ভব হবে- ইনশাল্লাহ।
 মো: মাহমুদুল হক
সহকারী শিক্ষক ও শিফট ইনচার্জ (দিবা)। পাবনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, পাবনা সদর, পাবনা।