Loading..

প্রকাশনা

১৭ অক্টোবর, ২০১৯ ০৯:৩০ অপরাহ্ণ

প্রাথমিক থেকেই কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা জরুরি

  আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব‍্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষাই হচ্ছে শিক্ষার প্রাথমিক সোপান। শিক্ষার এই প্রারম্ভিক স্তরকে শিক্ষার ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ শিক্ষাকে পুঁজি করেই অধিকাংশের জীবন জীবিকা পরিচালনা করতে হয়। 

  প্রাথমিক শিক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ পরবর্তী শ্রেণিতে ভর্তি হয় না। অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে ঝরে পরে। এ ঝরে পরার কারন বিভিন্ন। ঝরে পরা শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ বিপথগামী হয়ে থাকে। এর কারণ- তাঁরা সদ‍্য কৈশোরে পা দেয়া। হাতে অলস অফুরন্ত সময়। সৎ পথ থেকে বিপথ‌ই টানে বেশি। অপরদিকে এই প্রাথমিক শিক্ষা যদি ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত কর্মমূখী শিক্ষা হতো, তাহলে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপানান্তে পরবর্তী শ্রেণিতে ভর্তি না হলেও কর্মমূখী শিক্ষা গ্রহণের কারণে অলস সময় পার করে বিপথগামী হ‌ওয়ার সুযোগ কম থাকতো। কাজেই সমাজ ও দেশের কল্যাণে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত যুগোপযোগী কর্মমূখী শিক্ষায় রূপান্তর করা সময়ের চাহিদা।
 স্বাধীনতার পর গঠিত বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা কমিশন ডঃ. কুদরাত-ই খুদা শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ ছিল প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করা। সর্বশেষ গঠিত শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ‌ও এক‌ই। কিন্তু অত‍্যন্ত পরিতাপের বিষয়- অদ‍্য‌াবধি প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করা হয়নি।
 বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বেতন বৈষম্য নিয়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। যা সুষ্ঠু শিক্ষা ব‍্যবস্থার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। শিক্ষকরা আজ‌‌ও তৃতীয় শ্রেণির (১৪/১৫ গ্রেডের) কর্মচারী। যা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।
শিক্ষকদের নিম্ন বেতন কাঠামোর কারণে মেধাবীরা বাধ‍্য না হলে শিক্ষকতায় আসতে চাননা বা সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। শিক্ষা খাতে মেধাবীদের ধরে রাখতে না পারলে আগামী প্রজন্মকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। একটি দেশের সামগ্রিক অবস্থা শিক্ষার সাথে জড়িত। কোন একটি দেশ বা জাতিকে ধ্বংস করার জন্য আনবিক বোমার প্রয়োজন নেই। শিক্ষাকে ভুল পথে পরিচালিত করলেই যথেষ্ট। আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের আকর্ষণীয় বেতন ভাতাদি এবং শতভাগ দ্রুত পদোন্নতি চালু করার মাধ্যমে অধিকতর মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করা উচিত। ‌‌‌‌
লেখকঃ শিক্ষক ও ফ্রিল্যান্সার
#মোঃ হাবিবুর রহমান আখন্দ, সহঃ শিঃ, নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবিদ্বার, কুমিল্লা।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি