Loading..

প্রকাশনা

১৮ অক্টোবর, ২০১৯ ০৭:১৮ অপরাহ্ণ

বাবা মায়ের ইচ্ছেগুলোর মূল্য দিন
স্কুলের বার্ষিক আন্তঃজেলা ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলায় এক ছাত্র তার কোচকে অনুরোধ করলো তাকে যেন অন্তত আজকে খেলায় নামানো হয়। ছেলেটি সবসময় টীমের সাথে প্র্যাকটিস করত এবং কিন্তু কোনদিনই মূল এগার জনের একজন হতে পারেনি। তাকে দিয়ে মাঠে খাবার এবং অন্যান্য জিনিস আনা নেওয়া করা হত। ওকে ফাইনালে সুযোগ দেয়ার কথা শুনে কোচ এটা কোনভাবেই সম্ভব না বলে দিলেন। কিন্তু সে কোচকে অনুরোধ করেই যেতে লাগল। শেষ পর্যন্ত কোচ রাজি হলেন এবং বললেন- “দেখ ভাই আজকের খেলার সাথে স্কুলের মান সম্মান জড়িত, আমাকে সবার সামনে লজ্জিত করো না।”

উত্তরে সে ভালো খেলার প্রতিশ্রুতি দিল। যথারীতি খেলা শুরু হলো এবং কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক খেলার শুরু থেকেই সে পূর্ণ উদ্যমে পুরো মাঠ দৌড়ে খেলতে লাগলো। অবশেষে দেখা গেল তার দল ১-০ গোলে জিতলো এবং ওই বিজয় সূচক গোলটি সেই করেছে। খেলা শেষে কোচ দৌড়ে তার কাছে এলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন “ভাই আমার এত বৎসরের কোচিং জীবনে এতো বড় ভুল করি নাই। তুমি আজ স্কুলের ইজ্জত বাঁচিয়েছ, কিন্তু তোমাকে তো কোনদিন এভাবে খেলতে দেখিনি?”

“সে বলল আমার বাবা আজ প্রথম আমার খেলা দেখছেন।” ওর বাবার কথা বলতেই কোচ গ্যলারির দিকে তাকালেন যেখানে ওর বাবা প্রতিদিন আসতেন ওর সাথে প্র্যাকটিসে। কোচ বললেন “কিন্তু তোমার বাবাকে তো আজ দেখছি না ওইখানে?”

সে বলল, “আপনাকে বলা হয় নি কোচ। আমার বাবা ছিলেন অন্ধ এবং তিনদিন আগে তিনি মারা গেছেন, আজই প্রথম দিন তিনি আমার খেলা দেখতে পারছেন স্বর্গ থেকে!! তার জন্যই আমি আজ জিততে চেয়েছিলাম। তার জন্যই আজ আমি নিজেকে উজার করে খেলেছি এবং ফলাফল আপনার চোখের সামনে।”

মূলকথাঃ বাবা মায়ের ইচ্ছেগুলোর মূল্য দিন। আপনি অবশ্যই সফলকাম হবেন। যার সাথে বাবা মায়ের দোয়া থাকে সে কখনোই ব্যর্থ হয় না।


আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি