Loading..

ম্যাগাজিন

৩০ অক্টোবর, ২০১৯ ১০:১৭ অপরাহ্ণ

মুক্তিযুদ্ধ ও আমাদের প্রজন্ম

"মুক্তিযোদ্ধা" এমন একজন ব্যাক্তি যিনি তাদের বিশ্বাস সমেত কোন অত্যাচারী ও অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনে জড়িত থাকেন। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা বলতে এমন একদল জনগোষ্ঠীকে বোঝানো হয় যারা নিজেদের বা অন্যকারো রাজনৈতিক মুক্তি বা স্বাধীনতা লাভের উদ্দেশ্যে প্রতিরোধ আন্দোলনে সংগ্রামরত রয়েছে।
একজন নেতা তখনই তার অনুসারিদের জন্যে সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন যখন তিনি ত্রিকালদর্শী হন। অর্থাৎ নেতা অতীত সম্পর্কে অভিজ্ঞ, বর্তমানকে অনুধাবন করেন এবং ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা হতে পারেন।
বঙ্গবন্ধু আমাদের তেমনই একজন নেতা।
বঙ্গবন্ধু থেকেই মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের গহীন অরণ্যে চষে বেড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধু। সেই সূত্রে শব্দ দু’টি একই সূত্রে গাঁথা। ‘যুদ্ধ মানেই শান্তি’ বলা হয়ে থাকলেও যুদ্ধ শেষেই শান্তি আসে; আসে স্বাধীনতাও।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ একটা ঘটনা মাত্র নয় এর রয়েছে মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনা। মুক্তিযুদ্ধ এক ভয়াবহ ইতিহাস - পাকিস্তানী জান্তা আর এদেশে তাদের মিত্রদের জঘন্যতম বর্বর কাহিনী, আর এরপরে নিরস্ত্র মানুষের সাহসিক প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও রক্তক্ষয়ের মাধ্যমে বিজয় লাভের অনন্য নজির।
মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অস্তিত্ব দিয়েছে, অখন্ড- ভৌগোলিক অবস্থান দিয়েছে, আত্মপ্রত্যয়ে সুদৃঢ় হওয়ার বোধ দিয়েছে।
মুখে মুখে প্রচারিত হয়ে, পাঠ্যপুস্তক, বিভিন্ন বই, পত্রিকা, সাহিত্যে ইতিহাসের নির্মাণ ঘটে। বর্তমান যুগে মিডিয়াও ইতিহাস তুলে ধরতে অনেক শক্ত ভূমিকা পালন করে।
নিউ হিস্টারিসিজমের সাহায্য নিয়েও আমরা প্রকৃত ইতিহাস জানতে চেষ্টা করতে পারি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের একটি খন্ডিত ইতিহাস পেয়েছি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস; বিভিন্ন জেলা, থানা, গ্রাম, গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা করুণ, মর্মন্তুদ কহিনীগুলো সমষ্টিগতভাবে কোনো বইতে লিপিবদ্ধ হয়নি যাকে মূল ধরে আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সত্যটি নতুন প্রজন্মদের জানাতে পারি।
১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের আগের ঐ সময়ের ও যুদ্ধকালীন ঘটনাপ্রবাহ সঠিকভাবে, সত্যরূপে, স্বচ্ছরূপে নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করা জাতির জন্য একটি খুব জরুরী দায়িত্ব। ❤?
আজ যে শিশু কিশোর রয়েছে তাদের অনেকের মা-বাবারাও মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি।
যে মহান আত্মত্যাগ, বিসর্জন, বীরত্ব দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছি তা আমাদের বর্তমান সময়ের সঙ্কটগুলো মোকাবেলায় যাতে প্রেরণা হয়ে আসে তা গভীরভাবে চর্চা করতে হবে; তাহলে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের অমলিন স্মৃতি কোনদিন বিস্মৃত হবে না। বর্তমান প্রজন্ম মাথা উঁচু করে চলতে চায়, তারা কারো মুখাপেক্ষী হতে চায় না। 

(বিঃদ্রঃ অতি সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কতৃক ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য ডকুমেন্ট তৈরী প্রেক্ষাপট থেকে পাওয়া ভাবনা।)          

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি