স্কুল,কলেজ ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের জন্য অতীব জরুরী সতর্ক বার্তা==
বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে হঠাৎ দেখবেন দামী পাজারো মার্সিডিজ গাড়ী নিয়ে আপনার প্রতিষ্ঠানে বড় এক অফিসার হাজির, নিজেকে মিনিস্ট্রি থেকে আগত লোক বলবে। সাথে থাকবে ডিএসএল আর ক্যামেরা এবং স্মার্ট একজন ক্যামেরা ম্যান। বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেই বিভিন্ন স্থাপনার ছবি তুলবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান কে বলবে হাজিরা খাতা দেন। শিক্ষক সবাইকে ডাকেন। ধুম ধারাক্কা হুমকী ধামকী। সামান্য দূর্বলতা পাইলেই সুজোগ বুজে ধমক। কমিটির লোকজনকে ডাকেন। শিক্ষকদের ছবি তুলবে। বলবে ইন্ডেক্স নাম্বার বলেন। অপরাধ তথ্য চিত্র নামে একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন হাতে থাকে। নিউজ প্রকাশ হবে ইত্যাদি ইত্যাদি বলে ভয় ভীতি দেখায়,পরে প্রতিষ্ঠান প্রধান কে একান্তে বলে বাঁচার পথ একটা আছে,খরছ পাতি কিছু দিয়া দেন-চলে যাই। ২০/২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়।জেলা এ্যাম্বাসেডর হিসাবে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ এম এম সি অ্যাাপের মাধ্যমে আপলোডে সহযোগিতা করার জন্য হবিগঞ্জ সদরের একটি স্কুলে একদিন গিয়াছিলাম। গিয়ে দেখি এই অফিসার সকল শিক্ষক ও কমিটির লোকদের নিয়া বসে আছে, আর হুমকী ধামকী দিচ্চে। ঐদিন তার উপদ্রবের কারনে আমি বোবা হয়ে গেছিলাম,ক্লাশ নিতেই পারলাম না।যাক- রুস্তুমপুর ন"মৌজা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসায় আগামী শনিবার থেকে উপজেলার প্রায় ১৪ শত শিক্ষার্থী জেডিসি পরীক্ষা দিবে। বিকাল ২টায় মাদরাসা ছুটি দিয়ে আমরা বেঞ্চ ডেক্স সাজানো এবং আসন বিন্যাসের কাজে ছিলাম। কথিত অফিসার দামী গাড়ী হাকিয়ে মাদরাসায় এসে হাজির।আমি দেখার আগেই অন্যান্য শিক্ষকদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কোনটাসা করে ফেলেছিল।আমি দেখেই তার চেহারা স্বরণ হয়ে যাওয়ায় চিৎকার দিয়ে বললাম এ- তো প্রতারক। একে ধর, পুলিশকে খবর দাও। বেচারা অফিসার মিউ মিউ আরম্ভ করল।তার শরীরে কম্পন শুরু হল।সাথে থাকা ক্যামেরা ম্যান বলল ভাই সে আমাকে ভাড়া আনছে, আমি কিচ্চু জানিনা। আমি তাকে আগে থেকে জানিনা চিনিনা।আমাকে মাফ করে দেন। আমার কোন দুষ নাই। ভাগ্য তার সু-প্রসন্ন। আমাদের সুপার সাহেব কোমল মনের মানুষ।তিনি ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরুধ করলেন। তবে বলে দিছি হবিগঞ্জ জেলার আর কোন প্রতিষ্ঠানে এরকম গেলে তুমার খবর আছে বাছাধন। তার হাতে থাকা ম্যাগাজিন ও তার ছবি সহ দিলাম, এ লোক গেলেই পুলিশকে খবর দিবেন। সাথে সাথে নিজ নিজ ডিপার্ট্মেন্টের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের স্বরনাপন্ন হবেন।