Loading..

প্রকাশনা

৩১ অক্টোবর, ২০১৯ ১০:২৩ অপরাহ্ণ

১৮৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত, সন্তোষ জাহ্নবী উচ্চ বিদ্যালয়ের কিছু কথা।

আজ থেকে একশত ১৪৯ বছর আগে ১৮৭০ সালে টাঙ্গাইলের সন্তোষ ছয়আনীর মহিলা জমিদার বিদ্যেৎসাহী শ্রীমতি জাহ্নবী চৌধূরাণী  সন্তোষ এলাকার জনগনের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে জমিদারীর অর্থে নিজ বসতবাড়ীর আঙ্গিনায় প্রায় ৪.৫০ একর জায়গায় তাঁরই নামে প্রতিষ্ঠা করেন সন্তোষ জাহ্নবী উ্চ্চ বিদ্যালয়। এটি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার দ্বিতীয় এবং টাঙ্গাইল জেলার সর্বপ্রাচীন উচ্চ বিদ্যালয়।  তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পরামর্শ ও পরিকল্পনা মোতাবেক 3শ ফুট দীর্ঘ চুন সুরকীর ২৪ ফুট  দেওয়ালে ২০ ফুট উচ্চতা বিশিস্ট সুদৃঢ় ও সুদৃশ্য মনোরম পাকা অট্রোলিকা নিমার্ণ করেন তা আজও ঐতিহ্য ও বিশ্ময়ের নিদর্শন। সময় নিরুপনের  সুবিদার্থে  বিদ্যালয়ের সম্মুখুস্থ্য সুর্য ঘড়ি (Sun dial) , বিশাল দীর্ঘ এবং এর পারিপার্শিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য  বহু পর্যটকদের দৃস্টি আর্কষণ করে। বিদ্যালয়ের অবস্থান কালীন সময়ে  শিক্ষার্থীদের স্বাচ্ছন্দের প্রতি লক্ষ্য রেখে জানালাবিহীন এবং দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বরাবর সমান্তরালভাবে স্থাপিত  ১০১ টি বিশালাকৃতি দরজা বিশিস্ট প্রাসাদোপম ইমারতটি সেকালের মত আজও কাছের ও দূরের শিক্ষিত জন সাধারণের দর্শনীয় বিদ্যাপীঠ।

শ্রীমতি জাহ্নবী চৌধূরাণী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির স্থায়ীত্ব পরবর্তী সময়ে তাঁরই পূত্রবধু জমিদার শ্রীমতি দীনমনি চৌধূরাণী আজ থেকে শত বছর পূর্বে অবিভক্ত ভারতর্ষের তৎকালীন মোমেনশাহী জেলার ম্যাজিস্ট্রেট বাবু রমেশ চন্দ্র দত্তকে চেয়ারম্যান করে বৈকুন্ঠনাথ দীনমনি ট্রাস্ট ফান্ড নামে একটি ফান্ড  গঠন করে উক্ত ফান্ডে সর্বমোট তিন লক্ষ তেষট্রি হাজার টাকা সংগ্রহ করেন। এই টাকা কলকাতার ইস্পারিয়াল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া শাখায় জমা  এবং উক্ত টাকার লভ্যাংশ ১৯৫৫ ইং সন পর্যন্ত  বিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা হয়েছিল। এভাবেই বৃটিশ আমলের সর্বশেষ সময় পর্যন্ত কোন রকম  সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই সন্তোষ জাহ্নবী উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্থের প্রয়োজন মিটানো হতো। এরপর অজ্ঞাত কারণে উক্ত অনুদান বন্ধ হয়ে যায়।

 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি