Loading..

ম্যাগাজিন

০২ নভেম্বর, ২০১৯ ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ

সুদর্শন নিয়ে সুন্দর কিছু কথা খুঁজে নিলাম,মনের মাধুরী দিয়ে

সুদর্শনঃ
*
***
সুদর্শন হলো দেখতে সুন্দর লাগে যা,যা দেখতে চোখে সুন্দর লাগে,মন ভরে যায়,সুশ্রী,সুদ্শ্য।পুরুষ সুন্দর হলে সুদর্শন, নারী সুন্দর হলে সুদর্শনা।
সুদর্শনের অনেক গুণ আছে।কথায় বলে," প্রথমে দর্শনদারী,পরে গুণ বিচারী"
প্রায় সব মানুষই এই নীতিতেই বিশ্বাসী,যদিও কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন হয়।বেগুণ সব্জিটিরও অনেক গুণ থাকে।কথা সেটা নয়- যারা সুদর্শন তারা কি জানেন যে সুদর্শন- কবি জীবনানন্দের বিখ্যাত কবিতার সেই সুদর্শন  হলো গুবরে পোকা।অবশ্য নাম গোবরে হলেও এটিও দেখতে অতীব সুদর্শন।
আরও আছে সুদর্শন চক্র।
***
উইকিপিডিয়া জানাচ্ছে --"সুদর্শন চক্র হচ্ছে একটি ধারালো অস্ত্র, যার ১০৮টি ধারালো ধার রয়েছে। হিন্দু ধর্মমতে চক্রটি হিন্দু দেবতা ভগবান বিষ্ণু ব্যবহার করেন। চক্রটি ভগবান বিষ্ণু তাঁর ডান দিকের উপরের হাতে ধারণ করেন এবং তিনি অন্য তিনটি হাতে যথাক্রমে শঙ্খ, গদা ও পদ্ম ধারন করেন ।
পুরাণ মতে অন্যায়-অশুভ শক্তির দমন এবং শান্তি প্রতিষ্টার জন্য বিষ্ণু সুদর্শন চক্র ব্যবহার করেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি চক্রটির মাধ্যমে অনেক অসুর বধের মাধ্যমে স্বর্গ এবং মর্ত্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাই বৈষ্ণবীয় ঐতিহ্য মেনে আজও বহু বিষ্ণুমন্দিরের শীর্ষভাগে সুদর্শন চক্রের প্রতীকস্বরূপ একটি ধাতুনির্মিত চক্র বা বলয় স্থাপন করা হয় সকল অশুভ শক্তির হাত থেকে সুরক্ষা পাবার জন্য । এর উল্লেখযোগ্য নিদর্শন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চূড়ার নীলচক্রটি ।  সুদর্শন শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে। সংস্কৃত সু এবং দর্শন শব্দের সমন্বয়ে সুদর্শন শব্দটি গঠিত হয়েছে। এখানে সু (सु)অর্থ  "ভালো বা মঙ্গল'' এবং দর্শন(दर्शन) অর্থ "দৃশ্যমান" । অর্থাৎ সুদর্শন শব্দের অর্থ "মঙ্গলময় দর্শন।"
আবার চক্র শব্দটি সংস্কৃত চো এবং কু এর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। এখানে চো (चृ:) শব্দের অর্থ "চলাচল" এবং কু শব্দের অর্থ সম্পাদন করা। অর্থাৎ, চক্র অর্থ এমন কিছু যা চলাচল করতে সক্ষম। বেদ এবং পুরানে উল্লেখিত দেবতাদের অস্ত্রগুলোর মধ্যে সুদর্শন চক্রই একমাত্র অস্ত্র যা নিজ হতে চলাচল করতে পারে।"
***
সু দর্শন শব্দ বিশ্লেষণ--
দর্শন= দর্শ ( দেখার কাজ) করে যে,দর্শ অন (on) থাকে যাহাতে,যাহার দ্বারা দৃষ্টি সাধিত হয়।
দর্শন অর্থঃ দ্রষ্টা,দর্শয়িতা,অবলোকন,উপলব্ধি,বুদ্ধি,সাক্ষাৎকার শক্তি,সাক্ষাৎকার আরও আরও এবং ইত্যাদি।
দর্শঃ দর্শন,দৃশ্য,দর্পণ,দৃষ্টিগোচর বা জ্ঞানগোচর হওয়া,ঘটা,হওয়া,অমাবস্যা- ইতি + আদি।
দর্শ= দৃশ্+ অ
দৃশ্ হলো আবর্ত্তনমান - দাতার শয়ন
দৃশ হলো আবর্ত্তমান- দাতা শায়িত যাহাতে।
দ বর্ণ দান বোঝায়,দ+ ৃ কার = দৃ,দ এর সাথে ঋ - কার চিহ্ন যুক্ত হয়েছে।ঋ বর্ণের অর্থ আবর্ত্তণ বা ঘূর্ণন।
শ বর্ণটি শক্তিযোজন করে।শ হলো অসীম শক্তি প্রকাশক।সূর্যের আলোর মত সর্বদিকগামী হয়ে শক্তিবিচ্ছুরণ করে।।সর্বদিকগামী হয়ে শয়ন করে বা শায়িত হয়।
উদাহরণঃ ব্যাঙ্কের ব্ল্যাঙ্ক চেক।
( শ,ষ,স নিয়ে পড়ে আবার আলোচনা হবে)
***.
তাহলে
দর্শ হলো দৃশ থেকে,দর্শ অর্থও জানা হলো।
দর্শের একটি অর্থ অমাবস্যা।কেন??
দৃশ শব্দটি বিশ্লেষণে আমরা দেখলাম এটি সর্বদিকগামী হয়ে শক্তিবিচ্ছুরণ করে,কিন্তু দর্শক কি সর্বদিক থেকে এই আলোর বিচ্ছুরণ দেখতে পায়?কেবল একদিকেই দেখতে পারবে,অন্যদিকটি অমাবস্যা বা অদৃশ্য।
***
দর্শক= দর্শ করে যে।
দর্শন আগেই জেনেছি দর্শ অন থাকে যাহাতে।দর্শক যা দর্শন করে দৃশ্য।
সুদর্শন=সু + দর্শন
সু= স+ উ
স হলো সরল একরৈখিক শক্তিযোজন।
সু হলো সত্তা নবরূপে উত্তীর্ণ যাহাতে।
উ বর্ণটি নবরূপে অতিক্রমন বা উত্তীর্ণন করে।
*শ যদি ব্ল্যাংক নোট হয় তবে স হলো ক্যাশ টাকা।
শ যদি সূর্যের আলো হয় তবে স হলো সূর্যের বা টর্চের একটি কিরণ বা রেখার মতো।
শ - সূর্যের আলো
ষ- টর্চের আলো
স- মোম হ্যারিকেনের আলোর মত।
আবার শ- অখণ্ড জ্ঞান,ষ- দিশাগ্রস্ত জ্ঞান,স- প্রাত্যাহিক ব্যবহারের নিত্য নৈমিত্তিক  জ্ঞান।
***
সুদর্শন হলো সেই সত্তা বা  দর্শন যাতে সু নবরূপে উত্তীর্ণ থাকে।
--- কৃতজ্ঞতাঃ বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ,উইকিপিডিয়া।
২৮/০৬/২০১৯

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি