Loading..

ম্যাগাজিন

১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০৬:২৯ অপরাহ্ণ

উৎস

ভারতে বেদবাদী ও বেদবিরোধী মহান মানুষদের একটি সম্প্রদায় ছিল,দুনিয়ার সমস্ত মানুষকে তাঁরা বলতেন মহামায়া।

সেই মহামায়ার ছিল নানা বিভাজন।

সম্পদ নিয়ে যে জনসাধারণ থাকতেন তাঁদের তাঁরা বলতেন লক্ষী।

শিক্ষিত জনসাধারণকে বলা হত সরস্বতী।

মধ্যবিত্ত জনসাধারণকে বলা হত দূর্গা।

শ্রমজীবি জনসাধারণকে বলা হত কালী।

কৃষিমজুরদের শ্যামা বলা হত।

এঁরা সবাই মহামায়ার কন্যা,অর্থাৎ সমগ্র জনসাধারণের অংশ।

*

কালি শব্দটি বিভিন্ন অর্থ বহন করে।

কালি- কল্য,আগামী দিন।

"কালি হৈতে যাইবে রাধা মথুরানগর"- শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।

কালি- মসী

" কালি,কলম মন লেখে তিনজন- প্রবচন।

"চন্দ্রের হৃদয়ে কালি কলঙ্ক কেবল"- ভারতচন্দ্র গ্রন্থাবলী।

কৃষ্ণবর্ণ,কাল,বিবর্ণ,মলিন

কালি- পিতলের শিঙ্গা,বাদ্যবিশেষ।

কালি- " কালিয়ে রুধিল গোবিন্দাই"- শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল।

কালি- ক্ষেত্রে দৈর্ঘ ও প্রস্থের গুণফল,ইট,নিটন,ন

ৌকস,পুষ্করিণী, গণনা হিসাব

"এবার কালী কু লইব, কালি

কষে কালী বুঝে লব" -- রামপ্রসাদ।

কালীদহ-কালীহৃদ

"দহ বুলী ঝাপ দিলো,সে মোর সুখাইল"

গভীর দহ।

---কৃতজ্ঞতাঃবঙ্গীয় শব্দার্থকোষ,বঙ্গীয় শব্দকোষ।

*

সেই প্রাচীনকালের তথ্যপ্রবাহ বর্তমানে এসে পৌঁছেছে- কীভাবে?

পদে পদে পদ্যরচনা হত,মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বর্ণনা,আশা,সুখ দুঃখ মানুষ ছন্দাকারে মুখে মুখে রচনা করত।

প্রতিটি ভাষায় রচিত প্রাচীন কোন রচনা যা মুখে অথবা কলমে রচিত হত তা আদিতে মানুষ যা বিশ্বাস করত,যা ভাবত, যে জীবন যাপন করত তারই প্রকাশ।

এভাবেই এক মহাকাল থেকে উত্থিত মহাইতিহাস এসে আরেক মহাকালে মিশে গেছে।

আমাদের যদি খুঁজতে হয় নিজেকে তবে বর্তমানে দাড়িয়ে অতীতের দিকে ফিরে তাকাতেই হবে।অতীত ছাড়া বর্তমান কিংবা ভবিষ্যৎ কোনটাই হয় না।

---০৯/১২/২০১৯

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি