সহকারী অধ্যাপক
১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
ব্রেক্সিট ও ইংল্যান্ডের নির্বাচন:
'ব্রিটিশ এক্সিট' নামটিকে সংক্ষেপে ডাকা হচ্ছে ব্রেক্সিট নামে। এটি হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাবার প্রক্রিয়া।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কী?
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) হচ্ছে ২৮টি দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জোট। এই জোটের সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করে থাকে, এসব দেশের নাগরিকরা জোটভুক্ত যেকোন দেশে গিয়ে থাকতে ও কাজ করতে পারেন।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) এর ২৮টি দেশের নাম ও সদস্য হওয়ার তারিখ।
01/01/1958=Belgium,France,Germany, Italy,Luxembourg,Netherlands
01/01/1973=Denmark,Ireland,United Kingdom
01/01/1981=Greece
01/01/1986=Portugal,Spain
01/01/1995=Austria,Finland,Sweden
01/05/2004=Cyprus, Czechia, Estonia, Hungary,Latvia,Lithuania,Malta,Poland, Slovakia,Slovenia
01/01/2007=Bulgaria,Romania
01/07/2013=Croatia
১৯৭৩ সালে যুক্তরাজ্য ইইউতে যোগ দেয়। তখন এটির নাম ছিল - ইইসি ( ইউরোপিয়ান ইকনোমিক কম্যুনিটি)।
ইইউ ছাড়ছে কেন যুক্তরাজ্য?
৪০ বছরের বেশি সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে থাকার পর ২০১৬ সালের ২৩শে জুন একটি গণভোট নিয়েছিল যুক্তরাজ্য। সেখানে সেদেশের নাগরিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল।৫২ শতাংশ ভোট পড়েছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে,আর থাকার পক্ষে ছিল বাকি ৪৮ শতাংশ ভোট। কিন্তু সেই ভোটের ফলাফলের সাথে সাথেই ব্রেক্সিট হয়ে যায়নি।
তবে এখন এটা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছে যে ব্রিটেন ২০২০ সালের ৩১শে জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবে।
ইংল্যান্ডের নির্বাচন:
এখন বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে ভোটাররা বরিস জনসনের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছে। তিনি ভোটের আগে বলেছিলেন আমি নির্বাচনে জয়লাভ করলে ২১ জানুয়ারীর মধ্যেই ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করব। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের (কনসারভেটিভ দল) সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন। ব্রেক্সিটকে ঘিরে প্রায় তিন বছর ধরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে গত দু'বছরের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে এসেছে কনসারভেটিভ দল ।
টেরেসা মেকে সরিয়ে যখন তিনি গত জুলাই মাসে প্রথমবার কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসাবে ডাউনিং স্ট্রিটে আসেন, তখন সমালোচকরা বলেছিলেন যে, দলের মাত্র ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য তাকে এই দায়িত্বের জন্য নির্বাচিত করেছে।
বিভক্ত মতামত এবং মনোযোগ আকৃষ্টকারী বিতর্কের মধ্য দিয়ে নিজের পেশা জীবন গড়েছেন জনসন- প্রথমে একজন সাংবাদিক হিসাবে, পরে রাজনীতিবিদ।
কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ার তার অনেক সমালোচক মনে করেছিলেন যে, ক্ষমতায় টিকে থাকার মতো যথেষ্ট দক্ষতা তার নেই।
কিন্তু তাদের ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছেন জনসন।
মোঃ মেশবাহুল হক,
প্রভাষক(রাষ্ট্রবিজ্ঞান)
মোবাইল নং ০১৭১৮৮৯১৪৪৭