Loading..

নেতৃত্বের গল্প

১৯ জানুয়ারি, ২০২০ ০১:৫৩ পূর্বাহ্ণ

মিড ডে মিল বাস্তবায়ন

Leadership in Education-Episode -01

মিড ডে মিল বাস্তবায়নে আমি প্রথমেই কিছু সমস্যা চিহ্নিত করি ।

১.অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব,

২. শিক্ষকদের বাড়তি ঝামেলা পোহাতে অনীহা,

৩.শিক্ষার্থিদের ফাস্টফুড জাতীয় খাবারে প্রতি বেশি আগ্রহ,

.প্রতিষ্ঠানে রান্নাঘরসহ বাবুর্চি সমস্যা

আমি প্রথমেই অভিভাবক সমাবেশের মাধ্যমে বোঝাতে সক্ষম হই শিক্ষার্থিরা কেন পুষ্টিহীনতায় ভোগে, কেন তারা প্রতিদিন স্কুল পালায়,কেন তারা বিকেলের ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারে না, তারা কেন এই বয়সে গ্যাস্ট্রিক আক্রান্ত হয়। সমাবেশের মাধ্যমে আমি অভিভাবকদের এই সমস্যাগুলো বোঝাতে সক্ষম হই। এর পর আমি শিক্ষার্থি ও শিক্ষকদের সাথে মিটিং করি।শিক্ষকদের দায়িত্ব দিয়ে তাদেরকে জবাবদিহীতার আওতায়  নিয়ে আসি, অর্থাৎ প্রত্যেক শিক্ষককে একজন করে দাতা সংগ্রহ করে থালা-বাসন সংগ্রহ করতে বলি।এতে করে শিক্ষকদের মধ্যে একটি দায়বদ্ধতা চলে আসে। মিডডে মিল চালুর পর শিক্ষার্থিদের চাহিদার পরিবর্তন বদলাতে খাদ্যের গুণাবলি ও উপকারিতা বিশ্লেষণ করি। বিভিন্ন প্রকার শাক সব্জি ও মাছ মাংস দেহের কোন কোন উপকার করে তা বোঝাতে সক্ষম হই। এর পর থেকে তারা প্রতিদিনরে মেন্যুতে শাকসব্জি খেতে  অভ্যস্থ হয়ে পড়ে। তারা ক্লাস শুরুর আগে রান্না কাজেও সাহায্য করে,এতে তারা রান্না কাজটিও শিখতে পারে। একটি ডিপ ফ্রিজসহ আমি প্রায় ১২০,০০০ টাকার রান্না সামগ্রী দাতাদের মাধ্যমে সংগ্রহ করি। কুকিং কোর্সে আমার ৩ মাসের একটি কোর্স সম্পন্ন করা ছিলো বিধায় রান্না কাজটি আমার একটি সখের কাজ। বাবুর্চিকে সাথে নিয়ে প্রতি দিন সকাল ৮টায় শুরু করে সাড়ে ১০টায় রান্নার কাজ শেষ করি।

এর পর স্টুডেন্ট কেবিনেটের নেতৃত্বে দুটি রোমে খাবার পরিবেশন করা হয়। খাবা শেষে তারা নিজেরাই তাদের থালা-বাসন পরিস্কার করে।এতেও তারা নিজেদের কাজ নিজেরা করতে শেখে

আমার প্রতিষ্ঠানে ৩ ধরণের মিড ডে মিল চালু রেখেছি-

১/ স্কুলে রান্না করা 

২/ বাড়ির খাবার

৩/ দাতা কর্তৃক ফ্রি। মাত্র ১২টাকায় খাবার পরিবেশন করা হয়।

প্রতি শিক্ষাবর্ষে তিন মাস আমাদের ইংল্যান্ড প্রবাসি দাতাগণ এই ফ্রি খাবার দিয়ে থাকেন।