Loading..

খবর-দার

১২ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ

‘‘ফেসবুক থেকে কিছু এমবি আর সময় শিক্ষক বাতায়নে খরচ করলে আপনার জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে যেখানে রয়েছে, প্রাপ্তি, সম্মান আর আধুনিক শিক্ষক হিসাবে নিজেকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ’’

ছবিতে উল্লেখিত এবং নবাগত কন্টেন্ট নির্মাণ শুরু করা শিক্ষকের নাম মোঃ মাহবুব আলম। নেত্রকোণা জেলাধীন কেন্দুয়া উপজেলার গগডা মোজাফরপুর মাদ্রাসার সিনিয়র(সমাজ বিজ্ঞান) শিক্ষক।

হাওর সম্মেলনে কিছু নবাগত শিক্ষককে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয় যেন এটুআই এর নেতৃত্বে শিক্ষায় আইসিটি প্রয়োগে অগ্রগামী শিক্ষকবৃন্দ কীভাবে কাজ করেন, কী কাজ করেন, কী তাদের প্রাপ্তি ইত্যাদি কাছথেকে দেখার জন্য। সেই কোটায় মাহবুব আলম স্যার সুযোগ পান।

এবার মনে হচ্ছে হাওর সম্মেলনের টিমের ক্যাটাগরিী আবিস্কার বৃথা যায়নি। ফিরে এসে কাজ শুরু করেছেন। নিজের ভিতরে এক নতুন পরিবর্তন আবিস্কার করেছেন। কয়েকটি কন্টেন্ট নির্মাণ করে তা বাতায়নে আপলোড করেছেন। ইতি মধ্যে এক নতুন নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন যেখানে অনেক ভাল মানের কন্টেন্ট নির্মাতা কন্টেন্ট এ রেটিং দিচ্ছেন, পরামর্শ দিচ্ছেন। এক কথায় স্যারের ভাষ্যমতে খুব উপভোগ করছেন। প্রতিদিন অনেক এমবি খরচ হচ্ছে যা আগে হয়নি, তাতেও কোন কষ্ট পাচ্ছেন না। বরং আনন্দিত এজন্য যে আলম স্যারের উপলব্ধি এতদিন ফেসবুকে এমবি খরচ না করে শিক্ষক বাতায়নে এমবি খরচ করলে এবং 2019 সালে ক্রয় করা ল্যাপটপ-টা 2018 সালে ক্রয় করতে পারলে আজ নামের আগে প্রবীণ হওয়া সত্ত্বেও নবাগত লাগানো হতো না, সম্মেলনের প্রাপ্তিটা অন্যরকম হতে পারতো।

আমি ব্যক্তিগতভাবে সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানাই আলম স্যারকে। অনেক নিন্দুকের জন্য তিনি আমাদের উপজেলায় উদাহরণ। নিজেকে একটু দেরীতে হলেও আবিস্কার করতে পেরেছেন। আমাদের হাওর সম্মেলনের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের মধ্যেও এটা ছিল যে শিক্ষক বাড়ি ফিরে গিয়ে নতুন উদ্দ্যোমে শুরু করবেন।

আলম স্যারের প্রতিষ্ঠান বিদ্যুতায়িত, বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপন, উন্নয়মমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ ইত্যাদি কর্ম-কান্ডে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। একটি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব পাওয়ার জন্য সভাপতিকে উৎসাহিত করে মাননীয় সাংসদ মহোদয়ের মহোদয়ের মাধ্যমে আবেদন করেছেন। যদি ল্যাব পাওয়া যায় তবে কার্যক্রমে সকল শিক্ষক যুক্ত হতে পারবেন।

উপজেলায় ‘আমরা শিখব এবং শেখাব’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে একটি টিম গঠনের চেষ্টা চলছে। সেখানেও আলম স্যারের সক্রিয় সহযোগিতা রয়েছে। যদি তা বাস্তবায়িত হয় তবে  ঐ টিমের সহযোগিতার মাধ্যমে সাধারণ সমস্যগুলো কমে আসবে। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে সক্রিয় হওয়া আরো অনেক সহজ হবে। আমাদের কেন্দুয়া উপজেলার দুইজন প্রধান শিক্ষকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় চলতি মাসে দুইটি সুন্দর মাল্টি-মিডিয়া কক্ষ যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। যদি হয় তবে ঐ প্রতিষ্ঠান এমএমসি বাস্তবায়নে অগ্রসর হবে।

বাংলাদেশের অনেক উপজেলার মতো আমাদের উপজেলাটি অগ্রসর হতে পারেনি। এবার পারার এক সম্ভাবনা জাগ্রহ হয়েছে (যদিও অনেক চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান)। যদি সামান্য হলেও অগ্রগতি হয় তবে সবচে আমার বেশি ভাল লাগবে এবং সর্বচ্চো সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রস্তুতও থাকব ইনশাল্লাহ।

মাহবুব আলম স্যারের মতো আরো অনেক মেধাবী শিক্ষক রয়েছেন আমাদের উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। সকলকে অনুরোধ জানাবো আপনাদের ‘‘ফেসবুক থেকে কিছু এমবি আর সময় শিক্ষক বাতায়নে খরচ করলে আপনার জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে যেখানে রয়েছে, প্রাপ্তি, সম্মান আর আধুনিক শিক্ষক হিসাবে নিজেকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ’’।  

ধন্যবাদ সবাইকে

মোঃ আনোয়ার উদ্দীন হিরন

নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়

01711129709

February 12, 2020.