Loading..

নেতৃত্বের গল্প

১৬ মার্চ, ২০২০ ০৬:৪৪ অপরাহ্ণ

স্বপ্নের স্কুল গড়ি, নিজেকে দিয়ে শুরু করি

স্বপ্নের স্কুল তৈরি করতে স্বপ্ন দেখতে হয়। স্বপ্নকে যত্নে লালন পালন করতে হয়। আমি দিলরুবা খাতুন, প্রধান শিক্ষক,ধাদাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পুঠিয়া,রাজশাহী। ২০১০সালে এই বিদ্যালয়ে যোগদান করি। সেই সময় বিদ্যালয়ের অবস্থা খুবই দুর্বল ছিল।  ক্যাচমেন্ট এলাকার প্রায় ১০ পার্সেন্ট শিশু ভর্তি হত না। অনেকেই ঠিকমত ক্লাস করত না। যারা ক্লাসে আসত তাদের মধ্যেও অধিকাংশ ঠিকঠাক সব কিছুতে অংশগ্রহন করত না। সবাই পরবর্তি ক্লাসে উঠতে পারত না। যারা উঠে যায় তাদের গ্রেডসও ঠিকমত হত না। প্রায় ৮% শিশু প্রাথমিক শিক্ষা অতিক্রম করত না।

সমস্যাগুলোর সমাধান করা ছিল আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

এই সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য আমরা কয়েকটি উদ্ভাবনী কার্যক্রম গ্রহন করি।

১. মিডডে মিল

২. সততা স্টোর

৩. মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ স্থাপন

৪. মহানুভবতার দেয়াল

৫. স্বাস্থ্য কর্ণার

৬. কলম ব্যাংক

৭. দেয়াল পত্রিকা

৮. বঙ্গবন্ধু কর্ণার

৯. শ্রেণিকক্ষ বুক কর্ণার

১০. কবি পরিচিতি কর্ণার

১১. ফুলের বাগান

১২. নিরাপদ পানির ব্যবস্থা

১৩. ইতিহাসের পাতা থেকে

১৪. সজ্জিত শ্রেণিকক্ষ

১৫. শুদ্ধাচার কৌশল

১৬. সমস্যা সমাধানভিত্তিক শিখন

১৭. বিতর্ক অনুষ্ঠান

১৮. আইসিটি ক্লাস

১৯. One day one word কার্যক্রম

২০. হাতে খড়ি উৎসব

২১. বনভোজন

২২. পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের আলাদা যত্ন নেয়া।

একটি বিদ্যালয়ের রূপকল্প প্রণয়নে একটি বাস্তবায়নযোগ্য স্বপ্নের দরকার। স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য ভিতরে প্রচন্ড আগ্রহ থাকার দরকার। তবেই সফল হওয়া সম্ভব।