সহকারী অধ্যাপক
২৫ মার্চ, ২০২০ ১১:৪৪ অপরাহ্ণ
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের করণীয়
- ভাইরাসটা কী?
করোনাভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস - যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি।ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯ - এনসিওভি বা নভেল করোনাভাইরাস। এটি এক ধরণের করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে নতুন ধরণের ভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি।২০০২ সাল থেকে চীনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে।নতুন এই রোগটিকে প্রথমদিকে নানা নামে ডাকা হচ্ছিল, যেমন: 'চায়না ভাইরাস', 'করোনাভাইরাস', '২০১৯ এনকভ', 'নতুন ভাইরাস', 'রহস্য ভাইরাস' ইত্যাদি।এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটির আনুষ্ঠানিক নাম দেয় কোভিড-১৯ যা 'করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
- রোগের লক্ষ্মণ কী:
- রেসপিরেটরি লক্ষণ ছাড়াও জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ।এটি ফুসফুসে আক্রমণ করে।সাধারণত শুষ্ক কাশি ও জ্বরের মাধ্যমেই শুরু হয় উপসর্গ দেখা দেয়, পরে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়।সাধারণত রোগের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে পাঁচদিন সময় নেয়।
ভাইরাসটি কীভাবে ঠেকানো যেতে পারে?
- এই রোগ থেকে এখন পর্যন্ত রক্ষার একমাত্র উপায় হলো অন্যদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ হতে না দেয়া।
- যার মানে হলো:
- ১.মানুষজনের চলাচল সীমিত করে দেয়া।
- ২.সবসময় গরম পানি পান করুন। নো ঠান্ডা পানি! ঠান্ডা পানি করনা ভাইরাসকে ইনসপায়ার করে।
- ৩.হাত ধুতে সবাইকে সবাইকে উৎসাহিত করা।
- ৪.নো হ্যান্ডসেক, নো কোলাকুলি।
- ৫.আগামী অন্তত ১ মাস খুব কম এবং নির্দিষ্ট পরিমান পোশাক ব্যবহার করুন। গরম পানি ও জীবাণু নাশক ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড়গুলো ধুয়ে অন্তত ২ ঘন্টা রোদে দিন।
- ৬.হ্যান্ডগ্লোবস এবং মাস্ক ব্যবহার করুন
- ৭.স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরে রোগীদের আলাদা আলাদা করে চিকিৎসা সেবা দেয়া
- ৮.রোগীদের ভাইরাস রয়েছে কিনা তা জানতে এবং রোগীদের সংস্পর্শে আসা লোকদের শনাক্ত করার জন্যও গোয়েন্দা কর্মকাণ্ড বা নজরদারি ব্যবস্থার প্রয়োজন।
- ৯. আগামী ১ মাস ভীড় এড়িয়ে চলুন।
নিবেদক
মোঃ মেশবাহুল হক,প্রভাষক(রাষ্ট্রবিজ্ঞান)
হাপানিয়া দোগাছী জান্নতুল উলুম আলিম মাদরাসা
তানোর,রাজশাহী
মোবাইল নং ০১৭১৮৮৯১৪৪৭