অধ্যাপক
৩১ মার্চ, ২০২০ ০৭:০৬ অপরাহ্ণ
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজের সৃজনশীল প্রকাশনা “চেতনায় বঙ্গবন্ধু”
শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধা বিকাশের অন্যতম ক্ষেত্র সাহিত্য সাময়িকী যা শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। শ্রেণিকার্যক্রমের পাশাপাশি সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা ও মননের বিকাশে সচেষ্ট হতে পারে। আর সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করা প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সুস্থ ও সুন্দর জীবনবোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিবছর সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করে।তবে এবার মুজিব বর্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকীতে ১৭ মার্চ ২০২০ এ “চেতনায় বঙ্গবন্ধু” শিরোনামে বিশেষ আঙ্গিকে সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করা হয়েছে।কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজের প্রকাশনা “চেতনায় বঙ্গবন্ধু”টি উৎসর্গ করা হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সোনার বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি।১২৭ পৃষ্ঠার চাররঙ্গা প্রচ্ছদ সম্বলিত এ সাহিত্য পত্রে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ৯টি প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে।বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছাপা হয়েছে বেশ কিছু গল্প,কবিতা ও ছড়া।তাছাড়া ৬টি শুভেচ্ছ বাণী,সম্পাদকীয়, একনজরে কলেজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল,সম্পাদনা পর্ষদের ছবি, শিক্ষক কর্মচারীদের তথ্য ও ছবি স্থান পেয়েছে। সাহিত্য সাময়িকীটির প্রথমে এক নজরে বঙ্গবন্ধুর সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরা হয়েছে।এখানে ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সালের নানা ঘটনা প্রবাহ স্থান পেয়েছে। এর পর বেশ কিছু প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে। এ সব প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, একমাত্র শেখ মুজিবুর রহমানকেই বাঙালি খেতাব দিয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু’। এ খেতাব বিশ্বময় সব খেতাবকে ছাড়িয়ে গেছে। শুধু তাই নয় বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তিদের শ্রেষ্ঠ ভাষণ গুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে। তাঁর ভাষণের নাম ‘বজ্রকন্ঠ’।বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষকে কাপিঁয়ে তোলে,আলোড়িত করে এ ভাষণ।মহাত্মা গান্ধীকে বাদ দিয়ে যেমন ভারতের ইতিহাস লেখা যায় না, মাও সেতুংকে বাদ দিয়ে চীনের, হোচিমিনকে বাদ দিয়ে ভিয়েতনামের, জর্জওয়াশিংটনকে বাদ দিয়ে আমেরিকার ; তেমনি বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা যায় না। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ যাবত যত কাব্য,মহাকাব্য, প্রবন্ধ,নিবন্ধ,কবিতা লেখা হয়েছে বিশ্বের আর কাউকে নিয়ে লেখা হয়নি।তাই সর্বদিক দিয়েই বঙ্গবন্ধু শ্রেষ্ঠ।আলোচনা পর্যালোচনা শেষে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে যদি
বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারণ করে মননশীলতা ও জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্র সৃষ্টি করা যায়, পৃষ্ঠপোষকতা করা যায় , আমাদের চৈতন্যকে প্রসারিত করা যায়, নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জ্ঞানের অবারিত ভান্ডারের সন্ধান দেয়া যায় তাহলে নিশ্চয়ই বাংলাদেশ আলোকিত ও আধুনিক উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে। তবে এ জন্য শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবিসহ সকলকে বঙ্গবন্ধুর চেতনায় ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্ভুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে হবে সমাজের প্রতিটি স্তরে ।