Loading..

মুজিব শতবর্ষ

২০ এপ্রিল, ২০২০ ০৭:৫৫ অপরাহ্ণ

ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

বাঙালি জাতির মুখের ভাষা-মায়ের ভাষাকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল তৎকালীন পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী। ১৯৫২ সালের আজকের দিনে রক্তস্নানের মধ্য দিয়ে শত্রুর হাত থেকে মায়ের ভাষাকে ছিনিয়ে এনেছিল রফিক, সালাম, বরকত, শফিউরসহ নাম না জানা অসংখ্য বাংলার বীর সন্তান। এ অর্জন বিশ্বে বাঙালিকে অমর করে রেখেছে। অমর করে রেখেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হয় ১৯৪৭ সালে। পাক শাসকগোষ্ঠী বাঙালির ভাষার অধিকার হরণ করতে চেয়েছিল। উর্দু সংখ্যালঘু জনগণের ভাষা হলেও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাঙালির ওপর চাপাতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু তাদের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বাঙালির ত্রাণকর্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গর্জে উঠেছিলেন।

আজীবন মাতৃভাষাপ্রেমী এ মহান নেতা ১৯৪৭ সালে ভাষা আন্দোলনের সূচনা পর্বে, ১৯৪৮ সালে রাজপথে আন্দোলন ও কারাবরণ, পরে আইনসভার সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রভাষার সংগ্রাম ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অতুলনীয় ভূমিকা রাখেন। এক কথায় রাষ্ট্রভাষা বাংলার আন্দোলন ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় অংশগ্রহণ ইতিহাসের অনন্য নজির।

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তানের একচ্ছত্র অধিপতি হন। এ সময় নবগঠিত দুটি প্রদেশের মধ্যে পূর্ববাংলার প্রতি তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী ভাষাসহ নানা বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করে। এতে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্মের পরপর কলকাতার সিরাজউদ্দৌলা হোটেলে পূর্ব পাকিস্তানের পরবর্তী কর্তব্য নির্ধারণে সমবেত হয়েছিলেন কিছু রাজনৈতিক কর্মী। সেখানে পাকিস্তানে একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আন্দোলন ও সংগঠন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সে প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৭ সালের ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তানের কর্মী সম্মেলনে গণতান্ত্রিক যুবলীগ গঠিত হয়। ওই সম্মেলনে ভাষা বিষয়ক কিছু প্রস্তাব গৃহীত হয়।

এ প্রসঙ্গে গাজীউল হক ‘ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন, সম্মেলনের কমিটিতে নেওয়া প্রস্তাবগুলো পাঠ করেন সেদিনের ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান।’ প্রস্তাবগুলো ছিল, ‘বাংলা ভাষাকে পূর্ব পাকিস্তানের লেখার বাহন ও আইন আদালতের ভাষা করতে হবে। পুরো পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়া এবং জনগণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গ্রহণ করা।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি