Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

১৪ মে, ২০২০ ০১:২৯ অপরাহ্ণ

উদ্ভাবনের গল্প: আলোর পথে যাত্রা

আলোর পথে যাত্রা গ্রন্থনা, ভিডিও সম্পাদনা, ধারাভাষ্য মুহাম্মাদ আসআদুল্লাহ, প্রভাষক সৈয়দ শাহ্ মোস্তফা কলেজ মৌলভবাজার যে ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের পদচারণায় থাকতো মুখরিত, সে ক্যাম্পাস আজ নিরব নিস্তব্ধ, যে শহরের রাস্তা-ঘাট, অলি-গলি থাকতো লোকে লোকারণ্য সে কোলাহলপূর্ণ সড়কে আজ সুনসান নিরবতা। হ্যা বন্ধুরা আমি আমাদের বর্তমান অবস্থার কথাই বলছি। নোভেল কোরনা ভাইরাসের কারণে দেশ ও দশের স্বার্থে আমাদেরকে আজ গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউ তাদের প্রাণের বিদ্যাঙ্গনে আসতে পারছেনা। জ্ঞানার্জনের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা শিক্ষার্থী আজ দিশেহারা, অগ্রগতির পানে ছুটেচলা শিক্ষক আজ উদ্বিগ্ন, কি হবে আমাদের? কি হবে আমাদের নতুন প্রজন্মের? তবে কি আমরা থেমে যাবো? থমকে দাড়াবে আমাদের অগ্রযাত্রা? না না না, আমরা স্তব্ধ হতে পারিনা, আমাদের অপ্রতিরোদ্ধ অগ্রযাত্রা এই সর্বনাসী করোনা থামিয়ে দিতে পারেনা। আমাদের সোনার বাংলা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। তাই প্রযুক্তি ব্যবাহার করে আমারা দুর করতে পারি সকল প্রতিবন্ধকতা খুলে দিতে পারি সকল রুদ্ধদার। ছিনিয়ে আনতে পারি দুর্লভ সফলতা বিকশিত করতে পারি অপার সম্ভাবনার দ্বার। আর তাই আমরা উদ্ভাবন করেছি ভার্চুয়াল ক্লাসরুম এতে আমাদের প্রধান অস্ত্র কম্পিউটার ও স্মার্ট ফোন সফটওয়্যার হিসাবে ব্যবহার করলাম গুগলের মুক্ত সফটওয়্যার গুগল ক্লাসরুম। স্মার্টফোন এখন কলেজের প্রায় সকল শিক্ষার্থীর কাছেই আছে। যার কারনে আমাদের স্বপ্ন দ্রুত বাস্তাবায়ন হয়েছে। এসব নিয়েই তৈরি হলো,আমাদের ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষ যেখানে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই পাঠ কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করতে পারছে। যা এক ঝটকায় ভৌগলিক দূরত্ব, সময়ের গন্ডি, যাত্রপথের ঝুঁকি, অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা দুর করে আমাদেরকে যুক্ত করেছে জ্ঞানার্জনের এক মহা সড়কে। এখানে শিক্ষার্থীরা প্রচলিত শ্রেণিকক্ষের চাইতে বেশি সুবিধা লুফে নিচ্ছে। স্ট্রিম অংশে পাঠের বিষয় নিয়ে আলোচনার ঝড় তুলছে। যুক্তির পিঠে পাল্টা যুক্তি তুলে ধরছে। প্রশ্নের পিঠে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে। আবার তারা নিজেরাই তার উত্তর খুঁজে বের করছে। একক কাজ জমা দিচ্ছে। ক্লাস ওয়ার্ক অংশে জোড়ায় কাজ, দলগত কাজ ভিডিও কনফারেন্সিং মাধ্যমে সমাধান করে তা আবার এ্যাসাইনমেন্ট হিসাবে জমা দিচ্ছে। গুগর ফর্মের মাধ্যমে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের পরীক্ষা দিতে পারছে, আবার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরের নম্বর পেয়ে যাচ্ছে। প্রচলিত ক্লাসে ঘন্টা পড়লেই পাঠের আলোচনা মাঝপথেই বন্ধ করে শিক্ষককে চলে আসতে হতো, কিন্তু এই ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে সময়ের সীমাবদ্ধতা শতভাগ দুর হয়েছে। শিক্ষার্থী তার পছন্দমত সময়ে গুগল ক্লাসরুমে এসে পড়তে পারছে। এতে তার আগ্রহ মনোযোগ আরো বেশি পাওয়া যাচ্ছে। লেখাপড়া এখন আর এক ঘেয়ামী বিষয় নয়। এখন জানার আনন্দে, মজায় মজায় শিক্ষা, অল্প সময়ে বেশি শেখা। সহজে শেখা। তাছাড়া শিক্ষক হিসাবে আমার কাজও সহজ হয়ে গেছে। কারন একবার তৈরি করে নিলে এটাই বার বার বিভিন্ন ক্লাসে বিভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা যায়। প্রযুক্তিমুখি শতশত শিক্ষক আজ গুগল ক্লাসরুমের সহায়তা নিয়ে দক্ষতা সাথে ফলপ্রসু শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাই আসুন আমরা যারা এখনও শিখন শিখানো কার্যক্রমে আইসিটি ব্যবহার করছিনা আমরা শিক্ষায় আইসিটির ব্যবহার শুরু করি, কঠিন কাজকে সহজ করি।