Loading..

ম্যাগাজিন

১৪ মে, ২০২০ ০২:৫১ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশে এবার ৩০ রোজা

এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হচ্ছে। বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি জানিয়েছে, আগামী ২৩ মে দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ২৪ মে দেশের আকাশে নতুন চাঁদ দৃশ্যামান হবে। এই হিসাবে এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হয়ে ২৫ মে পালিত হবে ঈদ উল ফিতর।

চন্দ্র মাসের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের মুসলিমরা রোজা পালন করে থাকেন। কিন্তু চন্দ্র মাস কখনও ৩০ আবার কখনও ২৯ দিন হয়ে থাকে। মাসের এই হিসাব অনুযায়ী রোজাও কোন বছর ৩০ আবার কোন বছর ২৯টা হয়ে থাকে। এবার শাওয়াল মাসের চাঁদ ওঠা সম্পর্কিত গাণিতিক হিসাব করে অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি জানিয়েছে এবার রোজা ৩০ পূর্ণ হচ্ছে। বাংলাদেশে ঈদসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে এবারে ঈদ উল ফিতর বা শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা পর্যালোচনা করতে ২৩ মে সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেলে ২৪ মে পালিত হবে ঈদ উল ফিতর। আর চাঁদ দেখা না গেলে ২৫ মে পালিত হবে ঈদ।

গত বছর ঈদ উল ফিতরের চাঁদ দেখা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ওই বছর চাঁদ দেখা কমিটিও নিয়মানুযায়ী ৪ জুন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর্যালোচনা শেষে সিদ্ধান্ত দেয়া হয় যে দেশের আকাশে কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। কিন্তু প্রায় ২ থেকে আড়াই ঘণ্টা পর তাদের সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হয় জাতীয় চাঁদ দেখার কমিটি। এতে বলা হয় চাঁদ দেখা গেছে। চাঁদ দেখা কমিটির এই সিদ্ধান্ত ব্যাপক সমালোচনা হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিশ্বের অনেক দেশই চাঁদের গাণিতিক হিসাব ব্যবহার করে থাকে। গাণিতিক এই হিসাব চাঁদে অমাবস্যা সৃষ্টি, নতুন চাঁদের জন্ম এবং চাঁদ ওঠা সম্পর্কিত নির্ভুল তথ্য প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশেও দীর্ঘদিন ধরে জ্যোতির্বিদরা চাঁদ দেখার নির্ভুল গাণিতিক হিসাব দিয়ে আসছেন। এবার তারা বলছেন রোজা এবার ৩০টা পূর্ণ হবে।

তারা বলছেন, বিশ্বের অনেক দেশেই এখন চাঁদের গাণিতিক হিসাব নিকাশ করে চাঁদ দেখা এবং ঈদের ঘোষণা দেয়া হয়। তবে এটা সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ধর্মীয় এসব অনুষ্ঠান পালনের জন্য চাঁদ দেখা কমিটির ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু অনেক দেশে চন্দ্র বর্ষপঞ্জি আগ থেকেই নির্ধারিত হয়ে থাকে। ফলে ঈদের তারিখ আগ থেকেই জানা যায়। সৌদি আরবে ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ ঈদের তারিখ ঠিক করে খালি চোখে চাঁদ দেখেছেন এমন মানুষের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে। বাংলাদেশসহ অনেক মুসলিম দেশও একই পদ্ধতিতে ঈদের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরানে সরকারই নির্ধারণ করে ঈদের তারিখ। ইরাকে শিয়া সুন্নিরা ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় ঈদের তারিখ ঠিক করে। ইরাকে শিয়াদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় নেতা ঈদের ঘোষণা দেন। সুন্নিরা নির্ভর করে ধর্মীয় নেতাদের ঘোষণার ওপর। তুরস্কে জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের হিসাব-নিকাশের ভিত্তিতে ঈদের ঘোষণা দেয়া হয়। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা স্ব স্ব সম্প্রদায়ের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ঈদ পালন করে থাকে।

হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে রমজান মাসের শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদ উল ফিতর উৎসব পালন করা হয়। তবে কোন অবস্থাতে রমজান মাস ৩০ দিনের বেশি দীর্ঘ হবে না।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি