Loading..

ম্যাগাজিন

২৩ মে, ২০২০ ০৩:৫৮ অপরাহ্ণ

ইমিউন ক্লু করোনা চিকিৎসায় নতুন আশা

করোনায় গুরুতর আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুস্থ করে তুলতে সক্ষম, এমন একটি ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে সঙ্কটজনক অবস্থা সৃষ্টি হয় তাদেরই, যাদের শরীরে টি-শেল নামের একটি প্রতিরোধক কোষের সংখ্যা খুব কম। টি-কোষ শরীরের কোষের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। ইন্টারলেউকিন ৭ নামের এ ওষুধটি যদি সত্যি সত্যিই কাজ করতে পারে গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে, তাদের শরীরে কোষের ক্ষতি সামলে নিয়ে কোষের সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কাজ দেখাতে পারে, তাহলে এটিকে ক্লিনিকালি মূল্যায়ন করা হবে।

এই পরীক্ষাটির সঙ্গে জড়িত আছেন ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউট, কিংস কলেজ লন্ডন অ্যান্ড গাইস এবং সেন্ট টমাস হাসপাতালের বিজ্ঞানীরা। তারা ৬০ জন করোনা রোগীর রক্তে প্রতিরোধক কোষের দিকে নজর রাখতে থাকেন এবং অনেকগুলো সেলে টি-কোষের মধ্যে সংঘর্ষের নমুনা দেখতে পেয়েছেন।

ক্রিক ইনস্টিটিউটের প্রফেসর অ্যাড্রিয়ান হেইডে বলেন, রোগ প্রতিরোধক কোষগুলোর সঙ্গে কী ঘটছে, তা দেখাটা অদ্ভুত একটা ব্যাপার হবে। তারা আমাদের বাঁচাতে চেষ্টা করছে, আর ভাইরাস তাদের আক্রমণ করছে, তাদের সরিয়ে দিতে চাইছে। শেষ পর্যন্ত তাদের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পাচ্ছে।

স্বাভাবিক ও সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে এক মাইক্রোলিটারে (০.০০১ মিলি) রক্তের ফোঁটাতে ২০০০ থেকে ৪০০০টি কোষ থাকে, যাকে টি লিম্ফোসাইটসও বলা হয়। গবেষক দলটি ২০০ থেকে ১২০০ রোগীকে পরীক্ষা করে দেখেছেন।

গবেষকরা বলেন, রক্তে টি-শেলের মাত্রা পরীক্ষা করার জন্য প্রাপ্ত তথ্যগুলো তাদের জন্য একটা ফিঙ্গারপ্রিন্ট হিসেবে কাজ করবে। এটা আরও গুরুতর কোনো রোগের প্রাথমিক আভাসও জোগাতে পারে। আর এটি ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রতিরোধক কোষের জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করে। 

গাইস এবং সেন্ট টমাস হাসপাতালের পরামর্শক মনু শঙ্কর-হরি বলেন, তিনি কোভিড -১৯ এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ রোগীর প্রতি মাইক্রোলিটারে কোষের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৮০০ লিম্ফোসাইটের মধ্যে এসে পৌঁছাতে দেখেছেন। 

তিনি বলেন, যখন পুনরুদ্ধার শুরু হয় তখন সেটি আগের নিয়মিত স্তরে ফিরে যেতে থাকে।

ইন্টারলেউকিন ৭ এরই মধ্যে রোগীদের একটি ছোট গ্রুপে পরীক্ষা করে দেখা   হয়েছে এবং নিরাপদে এই নির্দিষ্ট কোষের উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়টা প্রমাণিত হয়েছে।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি