সহকারী প্রধান শিক্ষক
২৫ মে, ২০২০ ০৪:২২ অপরাহ্ণ
সাহিত্যের পাশাপাশি হাতে-কলমে কারীগরি ও বিজ্ঞান শিক্ষায় পারে বলিষ্ঠ - উন্নত জাতি নির্মাণ করতে
২৫ শে মে আজ সেই দিন, যে দিন এই ত্রিভুবনে এসেছিলেন আমাদের চির চেনা ও একরাশ ভালোবাসার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
তাঁর আত্ত্বার মাগফেরাত কামনা করছি এবং মহান স্রষ্টা যেন তাঁর স্বর্গ নছিব করেন, আমিন।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের যে অবস্থা, তা যে সন্তোষজনক ;একটু চিন্তা না করে কেউ যদি বলে হ্যাঁ, আমি বলবো আংশিক সত্য কিন্তু সম্পুর্ন নয়।কারণ,আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিবছর ভালো খুব ভালো এবং সর্বোচ্চ ফলাফল প্রাপ্ত (জিপিএ- এ প্লাস ) লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী পাশ করে স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যখন বের হয় তখন আমরা শিক্ষার্থী, শিক্ষক,অভিভাবক ও দেশবাসী খুশির জোয়ারে ভাসতে থাকি। কিন্তু প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর মাঝে তো যুগ পেরিয়ে ও গুটিকয়েক কবি, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী,দার্শনিক সৃষ্টি হচ্ছেনা। এর কারণ উদঘাটন করা এখন সময়ের দাবি তা না হলে আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে মেরুদণ্ড সোজা করে সম্মানের সাথে বিশ্ব সমাজে চলতে পদে পদে হোঁচট খাব বৈ কি!
স্কুলের সিলেবাসের চাপে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে যায়।আবার কিছু শিক্ষার্থী ভালো রেজাল্ট করার প্রয়াসে শুধুই অন্ধ হাফেজের মতো সিলেবাস টুকু মুখস্থ বা আয়ত্ব করে পরীক্ষার হলে গিয়ে উগড়ে দিচ্ছে।
ফলশ্রুতিতে আমরা প্লাসধারী শিক্ষার্থী পাচ্ছি,কিন্তু প্রকৃত জ্ঞানী পাওয়া দূঃস্বপ্ন মনে হচ্ছে।
একবার ভাবুন তো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্কুলের গন্ডি না পেরিয়ে ও কিভাবে এতো জ্ঞানাধার হলেন? আজকের এই শিক্ষার মাঝে সবার অজান্তে হয়তোবা কোন ক্রটি থেকেই যাচ্ছে। তা বৈ কেনইবা এমনটা হচ্ছে।
তার পরেও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক দুর এগিয়েছে, কিন্তু আরো হিমালয়সম পথ সামনে অথচ মহান স্বাধীনতার এতোগুলো বছর হারিয়ে গেল, কি পেলাম আমরা??
যেখানে মুসলিম দেশ ইরান কঠোর আন্তর্জাতিক অবরোধের মধ্যেই শিক্ষার সব ক্ষেত্রেই ঈর্ষনীয় উন্নতি করেছে। চিকিৎসাবিদ্যা,মহাকাশবিদ্যা, পরমাণু গবেষনা,কৃষি কি আর বলবো। কিন্তু আমরা আমাদের স্কুল-কলেজে সিলেবাস মুখস্থ ছাড়া যেটুকু হাতে কলমে শিক্ষা দেয়া হয় তা অতি নগন্য।
সাহিত্যের পাশাপাশি হাতে -কলমে কারীগরি, বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের যতোদিন একটা ঝোঁক সৃষ্টি করা সম্ভব হবেনা ততোদিন শিক্ষায় প্রকৃত অগ্রযাত্রা অর্জন ব্যাহত হওয়ার আশংকায় বেশী।