Loading..

প্রকাশনা

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিনোদন ও প্রশান্তি
বিনোদন ও প্রশান্তি একটু প্রশান্তির জন্য আমরা বিনোদন খুঁজি। বিনোদন বলতে আমরা সাধারণত টি.ভি. দেখা, ভ্রমণ, প্রত্রিকার পাতায় নায়িকাদের খালি গায়ের ছবি ( প্রত্রিকার বিনোদন পাতায় প্রায় দেখা যায়), সপ্তাহের শেষে ক্লাবে নাচ-গান, ড্রিংক করা ইত্যাদি। পৃথিবীর কয়েকটি দেশে সপ্তাহে গড়ে কত ঘন্ট করে টি.ভি. র সামনে কাঁটায় তার একটি পরিসংখ্যান নিয়ে দেখা গেছে—ইংল্যান্ডে সপ্তাহে গড়ে ২৮ ঘন্টা মানুষ টী.ভি.র সামনে কাঁটায়, আমেরিকাতে সপ্তাহে গড়ে ৩৮ ঘন্টা মানুষ টী.ভি.র সামনে কাঁটায়, বাংলাদেশের মহিলারা সপ্তাহে গড়ে ৪৫ ঘন্টা মানুষ টী.ভি.র সামনে কাঁটায়, বাংলাদেশের পুরুষরা সপ্তাহে গড়ে ৩৫ ঘন্টা মানুষ টী.ভি.র সামনে কাঁটায়। মাথাধরা, মাথাব্যথা, প্রায় ভুল করা, সন্দেহ প্রবনতা ইত্যাদি আক্রান্ত রোগীকে ডাক্তার প্রায় বলেন, রিলাক্সে থাকবেন, টেনসন করবেন না, প্রাকৃ্তিক সুন্দর এলাকায় ভ্রমণ করবেন অর্থাৎ প্রশান্তিতে থাকবেন। ইউরোপের অধিকাংশ রাস্ট্রেই দেখা যায় সপ্তাহের ৬দিন নিজের জন্য প্রচুর কাজ করে এবং সপ্তাহের শেষের দিন নাইট ক্লাবে নেশা, মদ, এনার্জি ড্রিংক, জুয়া, ইত্যাদিতে মশগুল থাকেন, এতে করে সত্যিকারের বিনোদন তো হয় না বরং ক্ষতিকর দিকই লক্ষ্য করা যায় বেশি। যার ফলে বিবাহ-বিচ্ছেদ, কলহ, অসম প্রতিযোগীতা ইত্যাদি জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলছে। তথাকথীত বিনোদন শব্দটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির (এনার্জি ড্রিংক/ধুম্পান/এলকোহল/ ফাস্টফুড ইত্যাদি কোম্পানি) সৃষ্টি। তারা তাদের পন্য বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন, লোক দেখানো সেবামুলক কাজ, অফার, দীর্ঘস্হায়ী নেশা ইত্যাদি প্রয়োগ করে। পশ্চিমা দেশগুলোতে সারাদিন সবায় নিজের স্বার্থে কাজ করে। সেখানে অন্যের ও নিজের জন্যে কল্যানকর কোন কাজ তারা করে না। নিজের স্বার্থে কাজ করতে করতে তারা ক্লান্ত হয়। সপ্তাহ শেষে সেই ক্লান্ত মেটাবার অজুহাতে তারা মেথে ও ঠে খরচ আর ভোগ বিলাসিতার বিকৃ্তেতে। কিন্তু একজন মানুষ যখন নিজের ও অন্যের কল্যাণে কাজ করে তখন তার ক্লান্ত থাকে না। যার ক্লান্ত নেই তার তথাকথীত বিনোদনেরও প্রয়োজন নেই। আল্লাহ মানুষকে পরিশ্রমি করে সৃষ্টি করেছেন। আর আমরা নিজেরাই অলস স্বার্থবাদী হ্যে ভাগ্যকে দোষারূপ করে ভাগ্যবিলম্বনায় পড়ি। সত্যিকারের বিনোদন হচ্ছে অন্যের কল্যানে সময় ব্যয় করা। এতে প্রশান্তি আসে হৃদয়ের গভীর থেকে। যার ফলে নির্লোভী, স্বার্থহীনকাজ, অন্যের কল্যান করা,নিঃস্বার্থ সেবা ইত্যাদি কাজ করা হলো বিনোদন। নিজের ও অন্যের উপকারে কাজ করলে স্ট্রেস, মাথাধরা, মাথাব্যথা, প্রায় ভুল করা, সন্দেহ প্রবনতা ইত্যাদি রোগ-বালাই চিরতরে দূর হবে এবং তথাকথীত বিনোদনের প্রয়োজন হবে না। তথ্যসূত্রঃ হাজারো প্রশ্নের জবাব ১ মেডিটেশন---মহাজাতক

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি