Loading..

খবর-দার

২৭ জুন, ২০২০ ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস ও আমাদের সতর্কতা

প্রাণঘাতি নভেল করোনা ভাইরাস এর সামাজিক সংক্রমণের  সম্ভবত চূড়ান্ত  সময় পার করছি আমরা।  বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সোয়া  লাখ ছাড়িয়েছে,  আক্রান্তদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা প্রায় দের হাজারের বেশি। মার্চের ২৬ তারিখে যখন সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ করা হয়েছিল তখন মনে হচ্ছিলো যে এটি  বাংলাদেশ সরকারের একেবারে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। তখন কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল আজকের তুলনায় একেবারে নগন্য। অথচ জনমনে ছিলো চরম শংকা। মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পেত। সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী যদি আমাদের দেশের সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে তাহলে আগস্টের ৬ তারিখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও a2i এর সমন্বিত উদ্যোগে সংসদ টেলিভিশন,  ঘরে বসে শিখি ও বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে অনলাইন স্কুল চালু হয়েছে।  এটা অবশ্যই প্রসংশা পাওয়ায় দাবিদার। শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পুষিয়ে নিতে একটি ডিজিটাল রাষ্ট্রের কাছে এটি ছিল প্রত্যাশিত। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের যারা চাকুরীজীবি রয়েছেন তারা বৈশ্বিক এই ক্রান্তিকালে সামনে থেকে যেমন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তেমনি আক্রান্ত হয়ে অনেকে মৃত্যুবরণও  করছেন।  তবুও তারা সেবা দিতে পিছপা হচ্ছেননা। যাদের জন্য রাষ্ট্রের এতো ত্যাগ তারা কতটুকু সচেতন? যাদের রক্ষা করার জন্য ডাক্তার,  নার্স, পুলিশ, সেনাবাহিনী, শিক্ষক থেকে শুরু করে  সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী জীবনের ঝুঁকি  নিয়ে কাজ করছেন সেই আমরা নিজেদের রক্ষায় কতটুকু সচেতন?  মানুষজনের চলাফেরা  দেখলে বেমালুম ভুলে যাই দেশে করোনা ভাইরাস বলে কিছু আছে। অথচ আমরা এখন আছি সংক্রমণের সবচেয়ে মারাত্মক পর্যায়ে।  এ পর্যায়ে এসে আমাদের যে পরিমাণে সতর্ক থাকার কথা আমরা কি পারছি ততটা সতর্ক থাকতে?   ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে অ্যাকটিভ কেস ৭০ হাজারেরও বেশি। আর ৫ শতাংশের যদি আইসিইউ সুবিধা প্রয়োজন হয় তাহলে সেটা সাড়ে তিন হাজারের বেশি।  আমাদের দেশে কোভিড রোগীদের জন্য আইসিইউ আছে মাত্র ৩৪০ টি,  যা এই পরিমাণ রোগীর জন্য চাহিদার মাত্র ৯.৫%। তাই আমাদের সচেতনতাই পারে আমাদের সুরক্ষিত রাখতে।  তাই আসুন আমরা অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হই,  নিজেকে সুরক্ষিত রাখি, পরিবার পরিজনদের সুস্থ্য রাখি,  মাতৃভূমিকে ভালো রাখি।