সহকারী শিক্ষক
২৬ জুলাই, ২০২০ ১২:৩২ অপরাহ্ণ
অনুভূতি
যে শ্রাবণ ধারায়, হৃদয় হারায়, স্বপ্ন ভাসে মেঘের দেশে,
প্রিয় ও প্রিয়ার
দুটি মন,হয় উচাটন, নেচে ওঠে মন ময়ূরীর বেশে।
যে শ্রাবণে
বৃষ্টি মেয়ে, মিষ্টি চেয়ে, মেঘদূতের হাতে পাঠায় চিঠি,
মধুর আবেশে, ওরা চেয়ে রয় অনিমেষে, মুগ্ধ প্রাণে ভরায় দিঠি।
যে শ্রাবণ দিনে
বাদল হাওয়ায়, রিমঝিম সুরে বৃষ্টি বাজায় নূপুর,
স্মৃতির ভেলায়, মন ভেসে যায়, দেখি যখন মেঘলা
আকাশ উদাস দুপুর।
এ শ্রাবণেই শৈশব
ও কৈশোরে কত হয়ছি বর্ষাস্নাত, শুধু তারুণ্য
গিয়েছে বৃথা,
প্রকৃতির শ্রাবণে
নয়, অশ্রু শ্রাবণে ভিজেছি তারুণ্যে, দেখেনি তা কোন মিতা।
ভেবেছি তবু আসুক
আষাঢ় -শ্রাবণ, আনুক সাথে খুশির প্লাবন,
নব কিশোলয়ে, রূপে ও সৌরভে ভরে দিক কেয়া,কদম, রঙ্গনের বন।
যে শ্রাবণ এতো
রূপ লাবন্যময়, উচ্ছলতায় যে বড়ই সরস,
সে কেনো আনে
বন্যা? বানভাসি প্রাণে ছোঁয়ায় ব্যথার পরশ?
শত-সহস্র- লক্ষ
মানুষ, হারিয়ে সুখের ফানুশ, জলের মাঝেতে বন্দী,
হে শ্রাবণ, কেনো বাঁধ ভাঙা জোয়ার আনলে এমন,এ কেমন তোমার ফন্দি?
দুঃখ- দুর্দশায়
সীমাহীন, কাঁদছে মানুষ রাত্রি দিন, কেনো এ নিঠুর বন্যা?
হে শাওন, তুমি শান্ত হও, পাহাড়ি ঢল থামাও, তুমি তো ঋতুরাজের রাজন্যা।
আনমনে তাই,ভেবে যাই,যে শ্রাবণ দেয় অনাবিল আনন্দ,মনে জাগায় সুর ছন্দ,
সেই আনে বাইশে
শ্রাবণ,বাঙালির শোকার্ত মন,কবিগুরুকে হারিয়ে হয়ে যাই নিরানন্দ।
জীবনে তবু আসুক
বর্ষা, হৃদয়ে আনুক স্নিগ্ধতায় ভরসা, শ্রাবণ ধারার দিনে,
হয়তো এ বসুন্ধরায় সুখ অধরা, আনন্দ অপূর্ণ, দুঃখের অনুভূতি
পলাশ দাশ