Loading..

ম্যাগাজিন

২৮ জুলাই, ২০২০ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

প্রত্যেক ক্রিয়ারই বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।

নতুন কোনো বিষয়ের অবতারণা আমি করছি না। আমাদের সবার জানা এবং মোটামুটি বেশ খানিকটা মানা একটা বিষয়। শ "যা পেতে চাই তা আগে দিতে হবে"। আবার জেনেছি যা দেবো তাই ফেরত পারো এবং সেটা সুদে আসলে। বেশ খানিকটা মানা এই কারণে বললাম, আমরা কিন্তু এখন মোটামুটি সচেতন এই বিষয়ে। আমরা আগের মতো চট করে রেগে যাই না, অন্যের অকল্যাণ চিন্তা করি না, কাউকে কটু কথা বলতে গেলে একটু ভাবি। কারণ ভেতর থেকে জানান দেয় রিটার্ন কিন্তু আসবে।


এরকমই একটা রিটার্নের ঘটনা সম্প্রতি ঘটে আমার সামনে। আমি কোরামের বাইরে আরো কয়েকটি ব্লগ এবং পাতায় লেখার চেষ্টা করি। এরকমই একটি লেখার পাতায় অন্য একজন লেখক লিখেছেন সমসাময়িক একটা ঘটনা নিয়ে। সেই লেখাটির সাথে একজন পাঠক একমত হতে পারেন নি। কিছু তীর্যক শব্দ দিয়ে তিনি লেখাটির সমালোচনা করেন।  লেখাটি আমিও পড়েছি। মূল লেখক সঠিক তথ্য চিত্রই তুলে ধরেছিলেন। সম্ভবত সে কারণেই তিনি এই সমালোচনাটিকে সহজভাবে নিতে পারেন নি। সমালোচনাকারী পাঠকের মন্তব্য আমার কাছেও ভালো লাগে নি কারণ তিনিই ভুল তথ্য দিয়েছিলেন।

আমি আমার মতো করে ইতিবাচক কথা দিয়ে তার মন্তব্যের জবাব দেই এই কারণে যে, তিনি যা বলছেন তা সম্পূর্ণ ভুল এবং এই ভুল তথ্যটা যেন সবার কাছে না যায়, এতে মানুষ বিভ্রান্ত হবে। আর মূল লেখক তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠার মতো ক্ষেপে গেলেন, তার ভান্ডারে থাকা যত আক্রমণাত্মক শব্দ ছিল তা দিয়ে সমালোচনার জবাব দিলেন। সমালোচনাকারী পাঠকটি বেশ একগুঁয়ে বুঝলাম তার পরের প্রতিউত্তর/মন্তব্য দেখে। 

তিনি আমার যুক্তি খন্ডন করার চেষ্টা করেছেন বেশ মার্জিত এবং পরিশীলিত শব্দ দিয়ে, হাল্কা একটু বিদ্রুপও করার চেষ্টা করেছেন আমি তার মতের সাথে একমত না হওয়ায়। মনে মনে হাসলাম। আমি তার আর প্রতিউত্তর দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম না।

পরে দেখি মূল লেখকের আক্রমণের জবাবে ঐ পাঠক আরো বেশি নেতি শব্দ ব্যবহার করছে এবং এক পর্যায়ে সেটি শালীনতার সীমা পেরিয়ে গেছে। মুল লেখক যিনি ছিলেন তিনি একজন শিক্ষিত এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি। তিনি লেখেন বেশ ভালো। তার পাঠকসংখ্যাও অনেক। অথচ নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে সাধারণ এক পাঠকের সাথে বচসায় লিপ্ত হলেন। দুজনের মধ্যে তখন আর আলোচনা সমালোচনা নেই, সেটি পরিণত হয়েছে গালাগালিতে।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি