Loading..

প্রকাশনা

০১ আগস্ট, ২০২০ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ

'সুন্দর শিশু' যতীন্দ্র মোহন দাশ,প্রধান শিক্ষক,শান্তিপুর সপ্রাবি,সুনামগঞ্জ সদর,সুনামগঞ্জ।

‘সুন্দর শিশু’

যতীন্দ্র মোহন দাশ

প্রধান শিক্ষক

শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

সুনামগঞ্জ সদর,সুনামগঞ্জ।

 

এক দেশে ছিলেন এক বাদশা। তাঁর ছিল ফুটফুটে সুন্দর এক শিশু সন্তান। তার বড়ই অহংকার ছিল সন্তানের সৌন্দর্য নিয়ে। তাই তিনি একদিন রাজসভা ডাকলেন। রাজকীয় ভাবে ঘোষনা করা হবে যে,তাঁর সন্তানটিই সবচেয়ে সুন্দর। যে মানবে না তার হবে অমঙ্গল। রাজসভায় প্রচুর লোকের সমাগম হয়েছে। তিল পরিমান জায়গাও খালি নেই।  বাদশাহ প্রশ্ন করলেন,” আমার শিশুটিই কী সবচেয়ে সুন্দর নয়?” সবাই এক বাক্যে জবাব দিল, জ্বি হ্যাঁ। একজন এ দাবী মানতে রাজি নয়। তিনি হলেন বাদশার প্রিয়ভাজন উজির। বাদশাহ তাকে প্রশ্ন করলেন, কেন? উজির বললেন, এর মীমাংসা চাইলে চলুন রাজ্য ভ্রমণ বের হই। সভা শেষ হয়ে গেলো। বাদশাহ বিষন্ন মনে উজিরের সাথে বের  হলেন রাজ্য ভ্রমণে। এক এক করে পার হলো সাত দিন। একদিন দেখতে পেলেন তার মায়ের কাছে খেলা করছে কালো কুৎসিত চেহারার মেয়েটি। তারা গেলেন তার পাশে।  মেয়েটি রাজার জাঁকঝমক দেখে ভয়াতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। উজির জিজ্ঞেস করলেন তোমার নাম কী সোনামণি? মেয়েটি নিজের নাম না বলে  ভয়ে দৌড়ে গেলো তার মায়ের কাছে এবং কাঁদতে লাগলো। মা তখন মেয়েটিকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলে উঠলো আমার সোনার টুকরাকে কে কাঁদালো, কী ক্ষতি করেছিলো সে তোমাদের? দেশে কী আইন নেই? আমি বাদশাহর কাছে গিয়ে তোমাদের নামে  নালিশ করবো। তখন উজির বাদশাহকে বলেন,আসলে প্রত্যেক শিশুই তার বাবা-মায়ের কাছে সবচেয়ে সুন্দর। তখন বাদশাহর হুঁশ হলো এবং তিনি স্বীকার করে নিলেন যে সব মা বাবার কাছে তাদের সন্তান সবচেয়ে সুন্দর।  

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি