Loading..

শিক্ষায় অগ্রযাত্রা

০৬ আগস্ট, ২০২০ ১২:২২ পূর্বাহ্ণ

ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়


সজীব ওয়াজেদ জয় প্রযুক্তির বরপুত্র। ডিজিটাল বাংলার স্বপ্নদৃষ্ট্রা । ডিজিটাল বাংলাদেশ রুপকল্পের কান্ডারী যা গত দশক থেকেই গুরুত্বের দিক বিবেচনায় সবার উপরে অবস্থান করছে। একজন অন্যন্য প্রতিভাবান পিতা আর এক স্বপ্নদর্শী মায়ের সন্তান। প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে দ্রত গতিতে ছুটে এগিয়ে চলার বাংলাদেশের আইকন সজীব ওয়াজেদ জয়। আইসিটি বিপ্লবের বাংলার স্থপতি। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রæতি দেয়া হয়, বিরোধী পক্ষ ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে নানা কথা, সমালোচনা করলেও আজ তথ্য প্রযুক্তিগত সুবিধা মানুষের হাতের মুঠোয়। জয়ের কর্মে আজকে বাংলাদেশ জয় জয়কার। মহাকাশে জয়, তথ্য প্রযুক্তিতেও জয়। এই করোনা কালে যেসব দেশ তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে তারা বাড়তি সুফল পাচ্ছে। ১১ বছরে গড়ে ওঠা তথ্য প্রক্তি অবকাঠামোই এ কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজে লাগছে বলে মনে করেন, অনেক বিশেষজ্ঞরা। জরুরী সেবা, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালু রাখা,  সম্ভব হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যানে। সজীব ওয়াজেদ জয় যিনি স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান এবং তা বাস্তবায়ন করেন। অ্যানালগ  ধারনা পাল্টে জীবন যাপনকে সহজ করতে অগ্রনী ভ’মিকা পালন করে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। বাংলাদেশে প্রথম ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা শুনেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখে, ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার যেমন,  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তেমনি ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি তাঁর পুত্র জয়।


প্রধানমন্ত্রীর অনেক বক্তব্যের মাঝে শুনেছি তিনি বলেছেন আমার কম্পিউটার শিক্ষার শুরু হয় আমার ছেলে জয়ের কাছে। ওর কাছ থেকেই প্রথম ডিজিটাল শব্দটি আমি শিখি।


২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ রুপকল্প ঘোষনা করা হয় তথ্য প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশ গড়ার । বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ এখন অন্যদেশকে জ্ঞানগত সহায়তা প্রদান করছে। এই মহাযজ্ঞ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের এবং বিশাল কর্মপরিকল্পনা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। পৃথিবীর নানান দেশের উন্নয়ন মডেল  তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন কোন মডেল অনুসরণ না করে নিজেদের চাহিদা এবং প্রেক্ষাপট বিচার করে তিনি নতুন মডেল দিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে দেশকে চারটি শক্তিশালি স্তম্ভের উপড় দাঁড় করাতে হবে। শুধু তাই নয় প্রতিটি স্তরের জন্য আলাদা লক্ষ্য নির্ধারন করে  দিয়েছে। 


রুপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে রুপান্তরের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন অবৈতনিক হিসেবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষন রাজনীতির মহাকাব্য শীর্ষক ব্যতিক্রমী গ্রন্থ রচনা করে তা প্রযুক্তির মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ডিজিটাল ভার্সনে মোবাইল অ্যাপ ও ই-বুক রুপান্তর করা হয় ।


ডিজিটাল বাংলাদেশের যে ৪টি স্তম্ভের কথা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন:-


১। দক্ষ মানব সম্পদ।


২। আইসিটি অবকাঠামো ও কানেকটিবিটি প্রতিষ্ঠা।


৩। ই-গর্ভনেন্স প্রতিষ্ঠা


৪। আইসিটি শিল্পের বিকাশকে কেন্দ্র করে সরকারি উদ্যোগ নীতিমারা পরিকল্পনা গ্রহন।


তিনি ১০টি বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের ৪টি স্তম্ভের আলোকে বিভিন্ন উদ্যোগ প্রকল্প ও কর্মসুচী বাস্তবায়ন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের অভুতপূর্ব সম্পসারন ঘটান যা ডিজিটাল অর্থনীতি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বির্নিমানের পথ সুগম করে।


মহাকাশে লাল সবুজের পতাকার রঙ্গের নকশা খচিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্যাটেলাটের এলিট ক্লাবের ৫৭ তম সদস্য হয়। তা স্বপ্নদৃষ্ট্রা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দেয়া ২য় স্তম্ভ আইসিটি কানেকটিভিটি যাকে বলা হয় কানেকটিং বাংলাদেশ। এছাড়া ফোর জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে দুর্গম উপজেলাগুলোকে। ফাইভ জি চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বঙ্গবন্ধ হাই টেক সিটি গাজীপুর, শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি  পার্ক যশোর। জনতা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই টেক পার্ক সিলেট, রাজশাহী শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউরেশন সেন্টার নাটোর ৭ টি। আইটি জেলা পর্যায়ে আইটি হাইটেক পাকৃ ১২টি জেলায় সম্পন্ন করেছে সরকার। সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনায়। ৩৮০০ টি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন করেছে।


দেশে আইসিটি শিক্ষার বিস্তার ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষন ল্যাব স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে নির্বাচিত ২৯০১ টি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানের কাজ চলমান।


তথ্য প্রযুক্তির  সহায়তায় শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজসমূহের উন্নয়ন স্থাপন করা হবে। ৩৩৮ টি কলেজে ল্যাব স্থাপন শেষ পর্য়ায়ে ৩১৫ টি মডেল স্কুল স্থাপন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে ৩১৫ টি মডেল স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পন্ াইনফো সরকার প্রকল্প সরকারের ৫৮ টি মন্ত্রনালয়/বিভাগ ২২৭ টি সরকারি অফিস ৬৪ টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় একীভ’ত নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। ৮০০+ভিত্তিক কনফারেমিট সিস্টেম স্থাপন।


৩য় পর্যায়ঃ ৬০ শতাংশ ভৌগলিক এলাকা ইন্টারনেটের আওতায় এসেছে, ১০০+ মিলিয়ন জনগন এর আওতায় ব্রডব্যান্ড ইন্টার নেটের মাধ্যমে সরকারি সেবা গ্রহনের সুযোগ পাচ্ছে। ১০০+ হাজার পুলিশ সদস্য ভিপিএন সংযোগের আওতায় এসেছে।


গ্রামের একেবারে তৃনমূলে প্রতিটি মানুষের জীবনে ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া লেগেছে এ জন্য বলা হয় সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলার স্থপতি।তাঁর সঠিক তত্বাবধানে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ অনন্য এক বাস্তবতা।


রাজনৈতিক সামাজিক অর্থনৈতিক শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশে তরুন উদ্যোগ তৈরিতে অসামান্য অবদান রাখছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।


তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা নয় বরং শিক্ষায় তথ্য প্রযুক্তি এই মন্ত্রকে ধারন করে শ্রেনি কক্ষের শিখন শিখানো কার্যক্রমকে শিক্ষার্থীকেন্দিক আকর্ষনীয় ও কার্যকর করে তোলার উদ্দেশ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম  শিক্ষক কর্তক মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট তৈরি শিক্ষক বাতায়ন মুক্ত পাঠ। ই-লার্নিক মাল্টিমিডিয়া কøাশরুম মনিটরিং অ্যাপও ড্যাশবোর্ড ই বুক এবং ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক নামের উদ্ভাবন গুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। করোনায় আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইন ক্লাশ বাস্তবায়িত হচ্ছে। শিক্ষারউৎকর্ষ সাধন শিক্ষক (শিক্ষক বাতায়ন) ২০২১ সালে মধ্যে ৯ লক্ষ শিক্ষকের সবাইকে শিক্ষক বাতায়নে আনা হবে যা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।


 কিশোর কিশোররিদের নিজেদেরর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনরে একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম কিশোর বাতায়ন। একই সঙ্গে বিদ্যমান কনটেন্ট দেখতে পারবে ও নতুন কনটেন্ট যুক্ত পারবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন ও প্রতিফলন সাংস্কৃতিক মননশীলতার চর্চা ও ডিজিটাল কনটেন্ট হিসেবে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুমে ব্যবহারের সুযোগও থাকছে।


তরুনদের মতামত পরামর্শ শুনতে লেটম টক ও পলিসি ক্যাফে ২টি প্রোগ্রাম শুরু করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।


তরুন  উদ্যোক্তা ও নেতৃত্বকে একসঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত করতে ইয়ং বাংলার সূচনা করেন তিনি। একজন বড় স্বপ্নদ্রষ্টা তিনি আমাদেরকে ৪র্থ শিল্পবিল্পবের কিংবা ফাইভ জি এর চ্যালেঞ্জ গুলো মোবাবিলা করে উপযুক্ত করতে চায় এবং জনসংখ্যার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায়। ১৯৭১ সালে ২৩ শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সন্তান সম্ভভা কন্যা শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন ছেলে সন্তান হলে তার নাম যেন জয় রাখা হয়। এবং পরবর্তীতে ছেলের নাম জয় রাখা হল। 


বিপুল দেবনাথ

সহকারী শিক্ষক (গণিত)

ঘোষগাঁও শেরেবাংলা উচ্চ বিদ্যালয়, ধোবাউড়া, ময়মনসিংহ।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি