উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ না হলে সরকারের ব্যয় বেড়ে যায় উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, সময়মতো নির্মাণকাজ শেষ করতে ব্যর্থ হওয়া ঠিকাদার এবং তদারককারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্বল্প সময়ে ভূমি অধিগ্রহণবিষয়ক কার্যাদি সম্পাদনে জেলা প্রশাসকদের অধিকতর সক্রিয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা দেখা দিলে নির্ধারিত সময়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে প্রকল্প এলাকার সড়ক প্রকৌশলীদের সমন্বয় বাড়ানোর পাশাপাশি এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।
প্রকৌশলীদের মাঠপর্যায়ে চলমান সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারকাজে নিবিড় তদারকি এবং পরিদর্শন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা বিবেচনায় নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, সিলেটবাসীর দীর্ঘ প্রত্যাশিত ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে। এশীয় ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-এডিবি এ মহাসড়ক উন্নয়নে অর্থায়ন চূড়ান্ত করেছে। সিলেট শহর থেকে বিমানবন্দর এবং কুমারগাঁও থেকে বাদাঘাট হয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়ক দুটি চার লেনে উন্নীত করার কাজও শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে বলে এ সময় মন্ত্রী জানান।
ভিডিও কনফারেন্সে অন্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চন্দন কুমার দে, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহারিয়ার হোসেন, সিলেট সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহাসহ বিভিন্ন সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো