Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১৭ আগস্ট, ২০২০ ০১:০২ পূর্বাহ্ণ

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি , স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মহফিল অনুষ্টিত হয়।

          আজ ১৫ই আগষ্ট-2020 ইং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৫তম শাহাতাৎ বার্ষিকী।আজকের এ দিনে বাংলাদেশের স্থাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেছিলেন! ঐতিহ্যবাহী গিধাউষা হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় ডাকঘর গিধাউষা উপজেলা গৌরীপুর ময়মনসিংহ উক্ত দিবসকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করে। দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য পেশ করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃশহিদুজ্জামান ফকির, সহঃ প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম,সিনিয়র বিজ্ঞান শিক্ষক মোঃ আবুল কাশেম , সিনিয়র গণিত  শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম, ইংরেজী শিক্ষক জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম। কৃষি শিক্ষক মোঃ আজিজুল হক সরকার সহঃ শিক্ষক আনোয়ারা বেগম ,আল- কোরআন থেকে তেলায়াতসহ ও দোয়া মহফিল পরিচালনা করেন মৌলবী  শিক্ষক জনাব মোঃমর্তুজ আলী।উক্ত দোয়া মহফিলে স্কুলের সকল শিক্ষকবূন্দও স্কাউট শিক্ষার্ত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিল।

   আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির জীবনের সবচেয়ে কলঙ্কময়, বেদনার দিন। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এ দিনে কাকডাকা ভোরে বিপথগামী কিছু সেনা সদস্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। বাঙালির জাতির ললাটে এঁটে দেয় কলঙ্কের তিলক। যে কলঙ্ক থেকে দেশ-জাতি আজো পুরোপুরি মুক্তি হতে পারিনি। কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। এখনো দন্ডপ্রাপ্ত কয়েকজন খুনি বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। দিনটি সরকারি ছুটির দিন।

      এদিন ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্ত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এসময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
      যে কাজটি বর্বর হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীও করার সাহস করেনি, সেটিই করল এ দেশের কিছু কুলাঙ্গার। স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গঠন করতে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন তখনই ঘটানো হয় এ নৃশংস ঘটনা। পরিসমাপ্তি ঘটে একটি ইতিহাসের। সে থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম বাংলার আকাশ-বাতাস ও মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকরা, যা কোনোদিন হয়নি, হবেও না। পৃথিবীতে বাঙালি জাতি যতদিন থাকবে ততদিনই থাকবে বঙ্গবন্ধুর নাম, তার কর্ম।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি