Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

২৩ আগস্ট, ২০২০ ১১:৫২ অপরাহ্ণ

ডেটাবেজ এর ব্যবহার।

ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা DBMS হলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তথ্য এবং সেই তথ্য পর্যালোচনা করার জন্য অনেকগুলো  প্রোগ্রামের সমন্বয়ে তৈরি এমন একটি সফটওয়্যার যা ডেটাবেজ তৈরি, পরিবর্তন, সংরক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত হয়। ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্দেশ্য হচ্ছে ডেটাবেজকে সব সময় সুন্দর ও নিখুঁতভাবে সর্বশেষ তথ্য সংবলিত রাখা, যাতে ব্যবহারকারী যেকোন  সময় তার প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বশেষ তথ্য লাভ করতে পারেন।

ডেটাবেজ মানে হচ্ছে তথ্যভান্ডার। কম্পিউটার আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত ফাইলের স্তুপে জমা থাকতো তথ্য, এখন তথ্য সংরক্ষণ করা হয় ডেটাবেজে। ডাটাবেজ তৈরীর বিভিন্ন প্রোগ্রাম আছে।

বিভিন্ন ধরণের ডেটাবেজ প্রোগ্রাম আছে যেমন, ওরাকল, এসকিউল এল,  ডিবেজ, ফক্সপ্রো, ভিজুয়াল ফক্সপ্রো, মাইক্রোসফট এক্সেস ইত্যাদি। তন্মধ্যে মাইক্রোসফট এক্সেস একটি উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় প্রোগ্রাম।

 ডেটাবেজ ব্যবহারের সুবিধাঃ

1.      একই তথ্যের পুনরাবৃত্তি রোধ করে স্থানের সর্বোচ্চ ব্যবহার। ধরা যাক, একটি স্কুলের ডাটাবেজে, তিন ধরনের টেবিল আছে। প্রথম টেবিলে, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার রেজাল্ট সংক্রান্ত তথ্য । দ্বিতীয় টেবিলে তাদের বেতন সম্পর্কিত তথ্য । তৃতীয় টেবিলে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য। দেখা যাবে, প্রতিটি টেবিলেই, শিক্ষার্থীদের নাম উল্লেখ করতে হচ্ছে। অথচ, ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে আমরা শুধু মাত্র এক যায়গায় শিক্ষার্থীদের নাম সংরক্ষন করে, পরবর্তীতে ঐ জায়াগার রেফারেন্স দিয়ে দিতে পারি।

2.      তথ্যের অসামঞ্জস্যতা দুর করা। বিচ্ছিন্নভাবে সংরক্ষিত তথ্যে বিভ্রাট বা যৌক্তিক অসামঞ্জস্যতা থাকতে পারে। ডিবিএমএসে তথ্য সংরক্ষণ করা হলে, তথ্যের যেকোন ধরনের অসামঞ্জস্যতা সনাক্ত করা যায়। যেমন, একই ব্যক্তির ছবির শিরোনাম ভিন্ন হতে পারে না। দেখা গেলো, একই রকম ছবি বা তথ্য জমা দিয়ে, দুজন ভিন্ন ব্যক্তি, দুটো ভিন্ন নাম ব্যবহার করলো। ডিবিএমএস ব্যবহারের মাধ্যমে তা সনাক্ত করা সম্ভব।

3.      একই সময়ে একাধিক ব্যবহারকারী একই তথ্য নিয়ে কাজ করতে সক্ষম

4.      তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তথ্য নবায়ন করার পর, সংরক্ষণের আগেই যেনো তা মুছে না যায় তা নিশ্চিত করা। যেমন, কোন তথ্যভান্ডারে ২০০ ডাটা নবায়ন করার পর, সংরক্ষণের আগেই বিদ্যুৎ চলে যেতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা ডিবিএমএস এ আছে। ডিবিএমএস তথ্যের যেকেনো পরিবর্তনের সুচী তৈরী করে রাখে। যখন প্রয়োজন হয়, তখন স্বল্পমেয়াদের জন্য তৈরীকৃত ঐসব সুচীর মাধ্যমে তথ্য উদ্ধার করা হয়।

5.      তথ্যের স্বনির্ভরতা তৈরী করা। এর মানে হলো, তথ্য যেন তথ্য ব্যবস্থাপনা প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর না হয়। তাতে সুবিধা হবে এই যে, এক ডিবিএমএসএ তৈরী করা তথ্য অন্য ডিবিএমএস এ ব্যবহার করা যাবে।

6.      স্বল্পতম সময়ে তথ্য খুঁজে বের করা।

7.      সহজে এবং কম সময়ে ডাটাবেজ বা তথ্যভান্ডার তৈরী করা 

 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি