Loading..

প্রকাশনা

০২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

Tista Barej

চীনের অর্থায়নে হবে তিস্তা প্রকল্পঃ ভারতের ঘুম হারাম.....!
বাংলাদেশ চীনের অর্থায়নে তিস্তার বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত অংশে একটি 'তিস্তা রিভার কমপ্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট এন্ড রেস্টোরেশন' প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।সেই প্রকল্পে কিভাবে শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখা যায় এবং নদীর নভ্যতা ফিরিয়ে আনা যায় সেই সকল কাজ করা হবে।
ভারতের সাথে যেহেতু বাংলাদেশের অনেক বছর ধরে তিস্তা নদীর পানি বন্টন নিয়ে সমস্যা এবং বর্ষা মৌসুমে বাধ খুলে দেয়া সহ নানান জটিলতার কারনে এখনো পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান হয়নি তখন বাংলাদেশ চীনের সাহায্যে নদীগর্ভে ড্রেজিং করা, রিভেটমেন্ট বা পাড় সংস্কার ও বাধানো এবং ভূমি পুনরুদ্ধার।
এছাড়া বন্যা বাঁধ মেরামতেরও পরিকল্পনা গ্রহণ করছে বাংলাদেশ যাতে বর্ষা মৌসুমে বন্যা হতে বাংলাদেশ মুক্তি পায় এবং শুকনো মৌসুমে পানি ধরে রাখতে পারে।
তিস্তা নদীর পানি বাংলাদেশের ভিতর হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয় এখন বাংলাদেশ যদি বাংলাদেশের অংশে তিস্তা নদীর উপর বাধ তৈরি করে সেক্ষেত্রে ভারতের বর্ষা মৌসুমে পানি ছাড়ার আর সুযোগ থাকবে না তখন ভারতে বন্যা দেখা দিবে। সব দিক বিবেচনা করে সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শিংলা বাংলাদেশ সফর করেন তার মূল উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশ এই প্রকল্প হতে যেনো হাতে না নেয় কিন্তু উনি ৩বার প্রধানমন্ত্রী সাথে দেখা করতে চেয়েও ৪র্থ বার বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী উনার সাথে দেখা করার শিডিউল দেন। এতেই বুঝা যায় তিস্তা নিয়ে বাংলাদেশ আর আকুতি জানাতে আগ্রহী না ভারতের প্রতি।
তিস্তা নিয়ে ভারত বাংলাদেশকে অনেক আশা দিলেও আজ পর্যন্ত তারা তাদের কথা রাখতে পারেনি উল্টো তিস্তার নদীর ভারতের অংশে ভারত আরো বাধ তৈরি করে যার ফলে পানির পরিমান কমে যায় এবং বাংলাদেশের পাওয়ানা অংশটুকুও দেয় না তারা।বর্ষা মৌসুমে যখন তিস্তার পানি প্রচুর থাকে বা ভারতের অংশে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তখন তারা বাধ খুলে দেয় এতে করে বাংলাদেশে বন্যা সৃষ্টি হয় যার ফলে দেশের হাজার কোটি টাকা ক্ষতি সাথে গৃহহীন হয়ে পড়ে হাজারো মানুষ।
চীনের সাথে সম্পর্ক রেখে বাংলাদেশ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলে তা হবে বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক। চীন বাংলাদেশকে এই প্রকল্পের অর্থ ঋণ হিসেবে দিবে এবং প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে
আট হাজার কোটি টাকা।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি