Loading..

খবর-দার

১৫ অক্টোবর, ২০২০ ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ

প্রাণের বিদ্যালয়_স্বপ্নের আঙিনা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

প্রতিষ্ঠানের নামঃ [125722] বোয়াইলমারী কামিল(এমএ) মাদরাসা ,                                              সাঁথিয়া, পাবনা।

প্রতিষ্ঠাকালঃ  ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ।

সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ

উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ,যাহা পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার পৌর প্রাণকেন্দ্রে (সাঁথিয়া হতে বেড়া এবং সাঁথিয়া হতে মাধপুর মহাসড়ক সংলগ্ন) অবস্থিত। দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অপূর্ব সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে আধুনিকতার অপরূপ সমন্বয়ে শিক্ষা স্তরকে সাজানো হয়েছে। তা হলো-

* নূরানি শাখা (প্রাক প্রাথমিক হতে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত)

* ইবতেদায়ী প্রি-ক্যাডেট শাখা ( শিশু শ্রেণি হতে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত )

* দাখিল/ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা শাখা [ষষ্ঠ হতে মাস্টার্স (আল                  হাদিস বিভাগ) পর্যন্ত।]

* দাখিল ভোকেশনাল শাখা ( ৯ম + ১০ম) কম্পিউটার এবং ড্রেস                   মেকিং এন্ড টেইলারিং কোর্স।

*  সর্বশেষ হিফজুল কোরআন বিভাগ (২৮ সেপ্টেম্বর শুভ                       উদ্ভোদন)।

* সমৃদ্ধ computer Lab  আছে। 

* সমৃদ্ধ   Science Lab  আছে।

* সমৃদ্ধ পাঠাগার  আছে।

* বিশাল খেলার মাঠ রয়েছে।

* নিয়মিত কারিকুলাম কার্যক্রমের পাশাপাশি কো-কারিকুলাম কার্যক্রম 

      পরিচালিত হয়ে থাকে। 

*ফুটবল এবং ক্রিকেট দল আছে। 

* রোবার স্কাউট এর দল আছ। 


***সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পূর্বে ইংরেজ প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থায় এ দেশের মুসলমানেরা ইসলামী শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত ছিল। অত্র এলাকার মুসলিম সন্তানদের মাঝে ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে সাঁথিয়া গ্রামের মৌলভী হাসান আলী, মরহুম অলী পন্ডিত, বোয়াইলমারী গ্রামের মরহুম বাবর আলী প্রামানিক, মরহুম মেহের আলী প্রামানিক, কোনাবাড়ী গ্রামের মরহুম শেখ জসিম উদ্দিন,সহ স্থানীয় ইসলাম প্রিয় ব্যক্তিবর্গ সাঁথিয়ার প্রাণকেন্দ্রে বোয়াইলমারী -তে ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে অত্র মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন।

পরবর্তীকালে শাহজাদপুর উপজেলার গাবের পাড়া হতে আগত মরহুম মাওলানা আব্দুল আজিজ (রহঃ)  মাদরাসা পরিচালনার দ্বায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম এবং দক্ষ পরিচালনায় মাদরাসাটি ফাজিল (বিএ) স্তরে উন্নীত হয়। সর্বশেষে মাদরাসাটি দ্বীনি শিক্ষার সর্বোচ্চ কামিল (মাস্টার্স) স্তরে উন্নীত হয়। নিম্নোক্তভাবে সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি এবং এমপিও ভূক্তি লাভ হয়।

Ø দাখিল/ এসএসসি—----------১৯৫২ সাল;

Ø আলিম/ এইচ়এসসি---------- ১৯৬৫ সাল;

Ø  ফাজিল/ বিএ---------------- ১৯৬৭ সাল;

Ø কামিল/ মাস্টার্স----------------২০০২ সাল।


### পরিচালনা পর্ষদঃ

মাদরাসা প্রধানের দ্বায়িত্ব পালনঃ

§ মাওলানা আব্দুল আজিজ----------হেড মৌলভী---(১৯৪০ হতে ১৯৬৪)

§  মাওলানা আব্দুল হাই -----সুপার--(০৭-০৩-১৯৬৪ হতে ০১-০২-১৯৭০)

§  মাওলানা আবু ইউসুফ---অধ্যক্ষ--(০২-০২-১৯৭০ হতে ১৩-১২-১৯৯৫)

§ মাওঃ মোঃ মাহতাব উদ্দিন -অধ্যক্ষ-(১৪-১২-১৯৯৫ হতে ৩০-৪-২০০৮)

§ মাওঃ মোঃ আবু হানিফ- ভারঃ অধ্যক্ষ-(১-৫-২০০৮ হতে ২৪-৭-২০০৯)

§ মোঃ জয়নুল আবেদীন - ভারঃ অধ্যক্ষ-(২৫-৭-০৯ হতে ২৪-৫-২০১০)

§ শেখ মোঃ আব্দুল আউয়াল - অধ্যক্ষ-----(২৫-০৫-২০১০ হতে চলমান)


গভর্নিংবডিঃ

1. আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল মমিন প্রামানিক-------------------সভাপতি

2. আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল মালেক---------------------------সহ সভাপতি

3. উপজেলা মাধ্যঃ শিক্ষা অফিসার -----------------বিদ্যুৎসাহী প্রতিনিধি

4. মোঃ মিরাজুল ইসলাম প্রামানিক----------------  বিদ্যুৎসাহী প্রতিনিধি

5. মোঃ আব্দুল জলিল------------------------------ বিদ্যুৎসাহী প্রতিনিধি

6. মোঃ আব্দুল জলিল------------------------------ বিদ্যুৎসাহী প্রতিনিধি

7. ড় মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ-----------------------------শিক্ষক প্রতিনিধি

8. মোঃ আব্দুল বারী--------------------------------- শিক্ষক প্রতিনিধি

9. মাওলানা মোঃ নূরুজ্জামান-----------------------শিক্ষক প্রতিনিধি

10. মোঃ আব্দুস সালাম মিয়া-----------------------অভিভাবক প্রতিনিধি

11. মোঃ ফজলুল হক-----------------------------অভিভাবক প্রতিনিধি

12. মোঃ সিরাজুল ইসলাম-----------------------------দাতা সদস্য

13. ডাঃ মোঃ মোজাফফর হোসেন------------------চিকিৎসক

14.  শেখ মোঃ আব্দুল আউয়াল----------------------------সদস্য সচিব


মাদরাসার অবস্থানঃ

জমির পরিমাণঃ  ৮ একর ।

খেলার মাঠঃ  ১ একর।

মোট শিক্ষার্থী সংখ্যাঃ  ১,১৫২ জন।


শ্রেণিভিত্তিক   শিক্ষার্থী সংখ্যাঃ

১ম------------------------৫৫ জন

২য়------------------------৪৪ জন

৩য়------------------------৫৬ জন

৪র্থ-------------------------৬৬ জন

৫ম-------------------------৫৩ জন

৬ষ্ঠ-------------------------৯৪ জন

৭ম------------------------৭৬ জন

৯ম-------------------------৫৬ জন

১০ম-------------------------৫৪ জন।

আলিম-------------------৫২ জন

ফাজিল-------------------৪৩+৬০+৯২=১৯৫ জন

কামিল-------------------৫৮+৪৮=১০৬ জন

দাঃ ভোকঃ

৯ম-----------২৫জন

১০ম---------৩৭ জন


মাদরাসার কর্মরত সন্মানিত শিক্ষকবৃন্দঃ

1.শেখ মোঃ আব্দুল আউয়াল---------অধ্যক্ষ

2.মোঃ আবু হানিফ------------------উপাধ্যক্ষ

3.মোঃ জয়নুল আবেদিন রানা--------সহকারী   অধ্যাপক(বাংলা)

4.মোঃ আব্দুর রহিম------------------সহকারী   অধ্যাপক(ইতিহাস)

5.মোঃ জয়নুল আবেদিন--------------সহকারী   অধ্যাপক(আরবী)

6.মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ-----------------সিনিয়র   প্রভাষক (আরবী)

7.মোঃ হাফিজুর রহমান-----------------সিনিয়র   প্রভাষক (আরবী)

8.সালমা খাতুন------------------------সিনিয়র   প্রভাষক (গণিত)

9.সামাদুল আলম---------------------সিনিয়র   প্রভাষক (রসায়ণ)

10.মোঃ মোফাজ্জল হোসেন------------সিনিয়র   প্রভাষক (জীব)

11.মোঃ   আবু সাইদ------------------সিনিয়র   প্রভাষক (পদার্থ)

12.মোঃ নজরুল ইসলাম---------------মহাদ্দিস

13.মোঃ ফকরুল ইসলাম--------------প্রভাষক (আরবী )

14.মোঃ রফিকুল ইসলাম---------------প্রভাষক (   ইংরেজি)

15.মোঃ আব্দুল বারী---------------সিনিয়র   সহকারী শিক্ষক (আইসিটি)

16.মোঃ মঈন উদ্দিন---------------সিনিয়র   সহকারী শিক্ষক(গণিত)

17.নাসরিন সুলতানা---------------সহকারী   মাওলানা

18.মাওলানা নূরুজ্জামান------------সহকারী   মাওলানা

19.শামিমা------------------------সহকারী   শিক্ষক(ইংরেজি)

20.মোঃ আব্দুল মাজেদ-----------সহকারী   শিক্ষক(বাংলা)

21.মোঃ আবুল কালাম আজাদ----সহকারী   মাওলানা

22.মোঃ নজরুল ইসলাম নান্নু------সহকারী   শিক্ষক(শ-চর্চা)

23.মোঃ আকরাম হোসেন--------ইবতে- সহঃ   প্রধান

24.মোঃ আব্দুস সালাম---------ইবতে-   সহকারী

25.মোঃ শরীফ আহমেদ--------ক্বারী   শিক্ষক

26.মোঃ নাসির উদ্দিন---------সহঃ   গ্রন্থাগারিক

27.মোঃ রফিকুল ইসলাম-------করণিক

28.মোঃ আবুল কাশেম---------করণিক

29.মোঃ নজরুল ইসলাম--------এমএলএসএস

30.মোঃ শফিকুল ইসলাম--------এমএলএসএস

31.মোঃ উজ্জল হোসেন---------এমএলএসএস

32.মোঃ মাইদুল ইসলাম---------এমএলএসএস


বিগত বছরের ফলাফলঃ

***পাশের বছর---------২০১৭

৫ম-----------------১০০%

৮ম----------------৯৮%

দাখিল--------------৯৬%

আলিম--------------৮৯%

ফাজিল---------------৯৯%

কামিল---------------১০০%

***পাশের বছর---------২০১৮

৫ম-----------------৯৭%

৮ম----------------৯৫%

দাখিল--------------৯৮%

আলিম--------------১০০%

ফাজিল---------------১০০%

কামিল---------------৯৯%

***পাশের বছর---------২০১৯

৫ম-----------------৯৭%

৮ম----------------৯৯%

দাখিল--------------১০০%

আলিম--------------৯১%

ফাজিল---------------১০০%

কামিল---------------৯৮%


অত্র মাদরাসা হতে পাশকরা স্বনামধন্য শিক্ষার্থীঃ

বোয়াইলমারী কামিল মাদরাসা একটি ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এক অপূর্ব সমন্বয়ে আধুনিক দ্বীনি শিক্ষাকে সময়ের কাংখিত চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। সমাজের অসংখ্য সৎ ,যোগ্য ও দক্ষ মানুষ উপহার দিয়েছে। এঁদের মধ্যে কয়েকজন গুণী শিক্ষার্থীদের নাম ও অবস্থান উল্লেখ করা হলো-

> মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী---সাবেক কৃষি এবং শিল্প মন্ত্রী ও                                                             জামায়াত আমীর।

> ড মোঃ জাকির হোসেন------চেয়ারম্যান, আল হাদিস বিভাগ, কুষ্টিয়া                                                    ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

> ড মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ--------------পদার্থ বিজ্ঞানী, বিভাগীয়                                           প্রধান(পদার্থ বিদ্যা), বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি।

> মোঃ আব্দুল মালেক----------- অধ্যক্ষ ,মহিলা ডিগ্রি কলেজ, সাঁথিয়া।

> মোহাম্মদ আলী-------------সাবেক অধ্যক্ষ, সাঁথিয়া সরকারী কলেজ।

> মরহুম আকমল হোসেন--সহকারী অধ্যাপক, সাঁথিয়া সরকারী কলেজ।

> মোঃ তোফাজ্জল হোসেন------শিক্ষক (অবঃ), সাঁথিয়া সরকারী পাইলট                                                      উচ্চবিদ্যালয়।

> মোঃ আব্দুল জব্বার খাঁন------------------সিও (জেডিসি শাখা),                                                           বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড।

> মোঃ আবুল কালাম আজাদ----------------অধ্যক্ষ, তেবাড়ীয়া কলেজ।

> মোঃ হাবিবুর রহমান শামিম------------ ----শিক্ষক,জিলা স্কুল, পাবনা।

>ড কামরুজ্জামান বকুল----সিনিয়র প্রভাষক, সাঁথিয়া সরকারী কলেজ।

> ড মোঃ ইদ্রিস আলম------সিনিয়র প্রভাষক, জোড়্গাছা কলেজ।

> ড মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ-----------সিনিয়র প্রভাষক, অত্র মাদরাসা।

> মোঃ আব্দুল মতিন------------------সুপার, আফতাবনগর মাদরাসা।

প্রায় শতবর্ষী পুরাতন এই প্রতিষ্ঠানের প্রোডাকশন এভাবে লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। আমার সীমিত সংগ্রহ থেকে যতটুকু সম্ভব হয়েছে। আমি নিজেও এই মাদরাসার শিক্ষার্থী (দাখিল/ এসএসসি-১৯৯৬) এবং শিক্ষক।  আশা করছি, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

উন্নয়ন পরিকল্পনাঃ

বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক, জাতীয় এবং স্থাণীয় চাহিদা ও কাংখিত প্রত্যাশা পূরণে একজন ইসলামী চেতনা সম্পন্ন আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে দক্ষ সু-নাগরিক তৈরি করা-ই আমাদের লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে গুনগত এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত কল্পে কাজ করা আমাদের অঙ্গীকার । জাতীয় শিক্ষানীতি ও শিক্ষাক্রমের আলোকে শতভাগ পরিচালিত হওয়ার পাশাপাশি কো-কারিকুলামে সরকারের সকল নির্বাহী আদেশ পালনে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্টত্বের অবস্থান অক্ষুন্ন রয়েছে। বোয়াইলমারী কামিল মাদরাসার চলমান উন্নয়ন পরিকল্পনায় যা যা থাকছে, তা হলো-

Ø শিক্ষায় ডিজিটালাইজেশন ;

Ø মডেল মাদরাসা প্রতিষ্ঠা;

Ø স্কুল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট এর আওতায় নিয়ে আসা;

Ø বৃহৎ পরিসরে ই-লার্নিং প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠা;

Ø বিজ্ঞান ক্লাব প্রতিষ্ঠা;

Ø আইসিটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা;

Ø হিফজুল কোরআন ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা (চলমান) ;

Ø নেটওয়ার্কিং জোন প্রতিষ্ঠা;

Ø বৃত্তিমুলক শিক্ষার পরিসর বৃদ্ধি;


সমস্যাঃ

মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নানামূখী কারণে আজ ঝুকির মধ্যে। বৈষম্যও চোখে পড়ার মতো। ফলে মাদরাসা হতে শিক্ষার্থী ক্রমাগতভাবে ঝড়ে পড়ছে। যাদের পাচ্ছি, তারা অসহায়,দরিদ্র এবং অত্যান্ত দূর্বল শিক্ষার্থী। নিজস্ব পর্যবেক্ষণের আলোকে সমস্যার অংশবিশেষ তুলে ধরা হলো-

Ø শিক্ষা স্তরের বৈষম্য ;

Ø বেতন বৈষম্য;

Ø সাধারণ শিক্ষা ও মাদরাসা শিক্ষার প্রতি অনেকাংশে সমান দৃষ্টিভঙ্গির ঘাটতি;

Ø অবকাঠামোগত সমস্যা;

Ø সরকারী আর্থিক প্রণোদনায় উদাসীনতা;

Ø প্রশাসনিক দূর্বলতা;

Ø পেশাদারিত্বের অভাব;

Ø রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি;

Ø মাদরাসা শিক্ষা শেষে চাকুরির বাজারে (ঘোষিত/অঘোষিত) নিষেধাজ্ঞা।


সম্ভাবনাঃ

কোন মাদরাসা শিক্ষার্থী বেকার নন। যে শিক্ষা রবভিত্তিক এবং জীবনমুখী, সে শিক্ষাকে কোনভাবেই দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তবুও জাতীয় এবং স্থানীয়ভাবে উক্ত সমস্যাগুলোর আশু সমাধান হলে বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর সফলতা বয়ে আনবে। মুসলিম অধ্যষিত এ দেশে মাদরাসা শিক্ষা জাতীয় প্রত্যাশা পূরণের পাশাপাশি আঞ্চলিক চাহিদা মেটাতেও সক্ষম হবে ইনশা আল্লাহ।


প্রতিবন্ধকতা দূরীকরনের উপায়ঃ

মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের প্রতিবন্ধকতাসমুহ নিন্মোক্ত উপায়ে দূরীকরণ করা যেতে পারে। তা হলো-

v মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন;

v একীভূত শিক্ষা কাঠামোর বাস্তবায়ন;

v শিক্ষা স্তরের বৈষম্য দূরীকরণ;

v বেতন বৈষম্য দূরীকরণ;

v অবকাঠামোগত উন্নয়ন;

v আর্থিক প্রণোদনা;

v ইনসাফ ভিত্তিক শিক্ষা প্রশাসন;

v দক্ষ নেতৃত্ব ;

v সৎ ও যোগ্য মারদাসা প্রধান;

v নেটের বেহাল অবস্থার উন্নয়ন;

v পেশাদারিত্বের মনোভাব ;

v ACR পদ্ধতি চালু করণ;

v মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অপসারণ;

v চাকরীর বাজারে ইতিবাচক মনোভাব প্রতিষ্ঠা;

পরিশেষে বলা যায়, শিক্ষার উন্নয়ন ব্যতিত দেশের এবং দেশের মানুষের মানোন্নয়ন আদৌ সম্ভব নয়। সুতরাং শিক্ষা বান্ধব এই সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্বেই সকল বৈষম্য দূরীকরনের পাশাপাশি সকল পর্যায়ের শিক্ষার জাতীয়করণ হবে ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সকল ইতিবাচক প্রচেষ্টা কবুল করুন, আমিন।

-------------------------

তারিখঃ ১৫.১০.২০২০ খ্রি

**