Loading..

প্রকাশনা

১৮ অক্টোবর, ২০২০ ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ

ভালোবাসায় ভালোথাকা

ভালোবাসায় ভালোথাকা

২০১৫ সালের কথা। আমি সদ্য বদলী হয়ে আমার গ্রামের স্কুলে যোগদান করি।বলা বাহুল্য আমি এই বিদ্যালয়েরই ছাত্র ছিলাম।

আর সময়ের বিবর্তনে আমারই প্রিয় শিক্ষকের অবসরজনিত শূন্যপদে আমি যোগদান করি।

 আমাদের সময়ের স্কুল আর এখনের স্কুলতো আর একনয়।বেড়েছে পরিধি, হয়েছে পরিবর্তন। অবকাঠামো,কারিকুলাম,চিন্তা চেতনা কত কত পরিবর্তন।সে রকমই একটা ছোট্ট পরিবর্তনের গল্প আজ শেয়ার করব।

নতুন স্কুলে প্রায় দুই বছর হয়ে গেল। যাওয়া আসার পথে পাশের বাড়ির ছোট ছেলেটা আমাকে দেখলেই একখানা মুছকি হাঁসি দিয়ে দৌড়ে পালায়।

যতদূর জানি, অভি’র মা বিদেশে কাজ করেন। আর বাবা কৃষি কাজ করেন।যদিও আমার স্কুলেই অভি’র যাওয়ার কথা কিন্তু বাবার ইচ্ছায় সে মাদ্রাসায় পড়ে।

পালনো দেখে কেমন যেন সন্দেহ হলো।

একদিন কাছে ডাকলাম।

অভি মাদ্রাসায় যাও?

না।

কেন যাওনা?

কোন উত্তর নেই।

আমার সাথে স্কুলে যাবা?

মুছকি হেঁসে আবার দৌড়ে পালাল।বুঝলাম ইচ্ছা আছেকথা বললাম ওর বাবার সাথে।

জনাব, অলিউল্লাহসাহেব কে বুঝালাম। খাতা,কলম,পোশাক ইত্যাদির ব্যয়ভার নিজকাধে তুলে নিলাম, তিনি সম্মতি দিলেন।

 

২০২০ সালে অভিঃ

মোঃ শরিফুল ইসলাম অভি

চতুর্থ শ্রেণি

ক্রমিক নং ৩

বড়াব্দা শাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,

চুনারুঘাট,হবিগঞ্জ।

                                  রচনায় 

                                    মোহাম্মদ শামসুজ্জামান

                                     সহকারী শিক্ষক

                                     বড়াব্দা শাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,

                                চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ।

                               ০১৭১৬৬৬৯১১

 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি