সহকারী শিক্ষক
১৪ নভেম্বর, ২০২০ ০৯:২৬ অপরাহ্ণ
মৌলের ধারণা ও রাসায়নিক গণনা || Class 9-10 || Basir Uddin || By Nidm
ধরন: মাদ্রাসা শিক্ষা
শ্রেণি: দশম
বিষয়: রসায়ন
রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্পন্ন করার সময় কী পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থ বিক্রিয়ক হিসেবে ব্যবহার করেন, কী পরিমাণ উৎপাদ ও পার্শ্ব উৎপাদ এবং কী পরিমাণে অপ্রয়োজনীয় পদার্থ উৎপন্ন হয় তা রসায়নবিদগণের হিসাব করা প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে রাসায়নিক শিল্পে আর্থিক বিবেচনায় এই হিসাব অত্যাবশ্যকীয়। এজন্য রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ব্যবহৃত ও উৎপন্ন পদার্থের অণুর সংখ্যা, অণুতে পরমাণু ও আয়নের সংখ্যা গণনা করতে হয়। অণু, পরমাণু ও আয়ন এত ক্ষুদ্রকণা যে এদেরকে জোড়া, হালি, ডজন, শত, হাজারে এমনকি কোটিতেও গণনা করা সম্ভব হয় না। রসায়নবিদগণ অণু, পরমাণু ও আয়ন গণনার জন্য একটি বৃহৎ সংখ্যা ব্যবহার করেন। এই সংখ্যার মান 6.02 x । ইটালিয়ান বিজ্ঞানী অ্যামেডিও অ্যাভোগেড্রোর (Amedeo Avogadro) নাম অনুসারে একে অ্যাভোগেড্রো সংখ্যা বা অ্যাভোগেড্রো ধ্রুবক বলে।6.02 x সংখ্যক অণু, পরমাণু বা আয়ন ধারণকারী পদার্থের পরিমাণকে মোল বলে। রসায়নে অণু পরমাণু বিক্রিয়ক, উৎপাদ ইত্যাদি হিসাব নিকাশ Stoichiometry নামে পরিচিত।
এ অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা
মোলের ধারণা ব্যবহার করে সরল গাণিতিক হিসাব করতে পারব।
নির্দিষ্ট ঘনমাত্রার দ্রবণ প্রস্তুত করতে পারব।
মৌলের প্রতীক, যৌগমূলকের সংকেত ও এগুলোর যোজনী ব্যবহার করে যৌগের সংকেত লিখতে পারব।
প্রদত্ত তথ্য ও উপাত্ত ব্যবহার করে যৌগে উপস্থিত মৌলের শতকরা সংযুতি নির্ণয় করতে পারব।
শতকরা সংযুতি ব্যবহার করে স্থূল সংকেত ও আণবিক সংকেত নির্ণয় করতে পারব।
মৌল ও যৌগমূলকের প্রতীক, সংকেত ও যোজনী ব্যবহার করে রাসায়নিক সমীকরণ লিখতে এবং সমতাবিধান করতে পারব।
রাসায়নিক সমীকরণের মাত্রিক তাৎপর্য থেকে বিক্রিয়ক ও উৎপাদের ভরভিত্তিক গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে পারব।
তুঁতের কেলাস পানির শতকরা পরিমাণ নির্ণয় করতে পারব।
নিক্তি ব্যবহার করে রাসায়নিক দ্রব্য পরিমাপ করতে সক্ষম হব।