Loading..

প্রকাশনা

২৩ নভেম্বর, ২০২০ ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ

বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করা ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীই বেকার

বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করা ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীই বেকার

নিজস্ব প্রতিবেদক | 
  

বিশ্বব্যাংকের হিসাবের বরতা দিয়ে ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ বলেছেন, প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাবে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করার পর প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী বেকারত্ব সমস্যায় ভুগছেন। শনিবার ডিসিসিআই আয়োজিত ‘নতুন কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা, প্রেক্ষিত ভবিষ্যৎ ব্যবসা-বাণিজ্য’ শীর্ষক ওয়েবিনার সংগঠনের সভাপতি শামস মাহমুদ এ কথা বলেন। সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের  জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে ওয়েবিনারে যোগদান করেন।

এ ছাড়া জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) দুলাল কৃষ্ণ সাহা, বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, ইউনিডোর আবাসিক প্রতিনিধি জাকি উজ জামান এবং বাংলাদেশস্থ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) আবাসিক প্রতিনিধি টুমো পৌটিআইনেন ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।

ডিসিসিআই সভাপতি আরো বলেন, জনসংখ্যার আধিক্য থাকলেও বাংলাদেশের শিল্প খাতে দক্ষ লোকবলের প্রচুর অভাব রয়েছে এবং তরুণ জনগোষ্ঠীর প্রায় ১২.৩ শতাংশ বেকার।

শামস মাহমুদ বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের কর্মরত মোট জনগোষ্ঠীর ৫০ শতাংশকে পুনঃদক্ষ করে তুলতে হবে।’ তাই শিল্প খাতের প্রয়োজন অনুযায়ী দেশের শিক্ষা কারিকুলাম যুগোপযোগীকরণের প্রস্তাব করেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকবেলায় প্রথম থেকেই যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সরকার স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যার ফলে আমাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থিতিশীলতার সঙ্গে অগ্রসরমান হচ্ছে।’ এ ছাড়া তিনি করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের নীতি সহায়তা দেওয়া নিয়ে নতুন আঙ্গিকে ভাবতে হবে বলে জানান।

দুলাল কৃষ্ণ সাহা দেশের তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে বেসরকারি খাত এবং এনজিওগুলোকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, দেশের অপার সম্ভাবনা থাকলেও দক্ষ জনবল তৈরিতে যুগোপযোগী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় বেশ পিছিয়ে রয়েছে। এ অবস্থা উত্তরণে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের একযোগ কাজ করতে হবে।

জাকি উজ জামান বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ করা সম্ভব হলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

টুমো পৌটিআইনেন বলেন, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, শ্রমবাজারের নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনের নিরিখে শ্রম খাতের আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি। এ ছাড়া তিনি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির জন্য বেসরকারি খাতে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানান। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধে পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ বলেন, বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য প্রতিবছর ২২ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হয়, যা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।

ওয়েবিনারের নির্ধারিত আলোচনায় গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান,  অ্যাংকরলেস বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সহযোগী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাত আহামদ এবং জেনারেশন আনলিমিটেড, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রগ্রাম ম্যানেজার ম্যারিয়্যান ওহলার্স অংশগ্রহণ করেন।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি