Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

২৪ নভেম্বর, ২০২০ ০৮:২৯ অপরাহ্ণ

পৃথিবীর গতি

পৃথিবীর গতি দুইপ্রকার।

১।আহ্নিক গতি (Rotation)

২।বার্ষিক গতি (Revolution)

  • নিজ অক্ষের উপর একদিনে আবর্তন করাকে আহ্নিক গতি বলে।
  • এক বছরে সূর্যের পরিক্রমণ করাকে বার্ষিক গতি বলে।

আহ্নিক গতি

পৃথিবী তার নিজের মেরুদন্ডের বা অক্ষের চারদিকে দিনে একবার নির্দিষ্ট গতিতে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করে। পৃথিবীর এই আবর্তন গতিকে আহ্নিক গতি বলে। পৃথিবী তার নিজের মেরুদন্ডের উপর একবার পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করতে সময় নেয় ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড বা ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ একদিন।একে সৌর দিন বলে।পৃথিবীর আহ্নিক গতি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম। পৃথিবী পৃষ্ঠ পুরোপুরি গোল না হওয়ায় এর পৃষ্ঠ সর্বত্র সমান নয়। সে কারনে পৃথিবীপৃষ্ঠের সকল স্থানের আবর্তন বেগও সমান নয়। এজন্য নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তনের বেগ সবচেয়ে বেশি। ঘন্টায় প্রায় ১৭০০ কিঃমিঃ। ঢাকায় পৃথিবীর আহ্নিক গতিবেগ ১৬০০ কিঃমিঃ। যত মেরুর দিকে যায় এর আবর্তনের বেগ তত কমতে থাকে এবং মেরুদ্বয়ে প্রায় নিঃশেষ হয়ে যায়।

  • পৃথিবীর আলোকিত ও অন্ধকার অংশের মধ্যবর্তী বৃত্তাকার অংশকে ছায়াবৃত্ত বলে।
  • প্রভাতের কিছু পূর্বের যে সময় ক্ষীন আলো থাকে তাকে ঊষা এবং সন্ধ্যার কিছু পূর্বে যে সময় ক্ষীন আলো থাকে সে সময়কে গোধূলি বলে।
  • পৃথিবী পশ্চিম হতে পূর্বদিকে আবর্তিত হয়।
  • আজকে জোয়ার যে স্থানে যে সময়ে হচ্ছে পরের দিন সেই সময়ে না হয়ে ৫২ মিনিট পরে হচ্ছে। এই যে সময়ের ব্যবধান তা আহ্নিক গতির কারনেই হচ্ছে।

 

বার্ষিক গতি

সূর্যের মহাকর্ষ বলের আকর্ষনে পৃথিবী নিজের অক্ষের উপর অবিরাম ঘুরছে।পৃথিবীর এই গতিকে বার্ষিক গতি বা পরিক্রমণ গতি বলা হয়।

একবার সূর্যকে পরিক্রমণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একে সৌরবছরবলে।

৪ বছরে একবার ফেব্রুয়ারি মাসকে একদিন বাড়িয়ে ২৯ দিন করা হয় এবং ঐ বছরটিকে ৩৬৬ ধরা হয়। সেই বছরকে লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ বলে।

আর্যভট্ট আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি প্রথম আবিষ্কার করেন।

২১ শে জুনঃ এইদিনে উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে বড় দিন এবং সবচেয়ে ছোট রাত হয়। দক্ষিন গোলার্ধে বিপরীত অবস্থা বিরাজ করে। ২১ জুন সূর্য উত্তরায়নের শেষ সীমায় পৌঁছায় একে কর্কটক্রান্তি রেখা বলে।

২৩ শে সেপ্টেম্বরঃ এইদিনে দিবারাত্রি সমান হয়।

২২ শে ডিসেম্বরঃ উত্তর গোলার্ধের সবচেয়ে ছোট দিন ও সবচেয়ে বড় রাত হয়। দক্ষিন গোলার্ধে বিপরীত অবস্থা থাকে।

২১ শে মার্চঃ ২৩ সেপ্টেম্বরের মত এই দিনেও দিবারাত্রি সমান হয়।

উত্তর গোলার্ধে যখন গ্রীষ্মকাল দক্ষিন গোলার্ধে তখন শীতকাল।

উত্তর গোলার্ধে যখন শরৎকাল দক্ষিন গোলার্ধে তখন শরৎকাল।

উত্তর গোলার্ধে যখন শরৎকাল দক্ষিন গোলার্ধে তখন বসন্তকাল।

বাংলাদেশ উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি