Loading..

শিক্ষায় অগ্রযাত্রা

২৯ নভেম্বর, ২০২০ ০৮:৫৫ অপরাহ্ণ

দুঃখের মাঝেও একটা সুখের অনুভূতি থাকে, তা হয়তোবা সুখে থেকে কেউ কল্পনাও করতে পারবেনা। কারণ মানুষ দুঃখে থেকে সুখকে উপলদ্ধি করতে পারলেও সুখে থেকে কি
 

Custom
জীবন একটি অংকের নাম সেই করতে গিয়ে যদি কেউ ভুল সূত্র প্রয়োগ করে ফেলে,
তাহলে তাঁর পুরো জীবন টাই অন্ধকারে ঢাকা পরে যায়,
আর যদি সঠিক সূত্র প্রয়োগ করে তাহলে পুরো জীবন টাই সূর্যের মত আলোকিত হয়ে যায়,
আর এইটার নামেই হল জীবন।
"শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ
শেখ হাসিনার বাংলাদেশ"
এই প্রত্যয় নিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষকবৃন্দ পথ চলছি নিরন্তর। কি বলব ভেবে পাচ্ছি না! বড্ড অসহায় মনে হচ্ছে নিজে কে। ঝরে পড়া রোধ করতে প্রাথমিক শিক্ষা কে এগিয়ে নিয়ে যেতে নিয়মিত কার্যক্রমের একটি হোম ভিজিট।
কিন্তু আজ যে শিক্ষার্থীর খুঁজে ওর বাসায় গেলাম সে একজন চাকুরীজীবি । ওর বা ওর পরিবারের সাথে সাক্ষাত করতে হলে সন্ধ্যা ৭:৩০ এর পর যেতে হবে। সে কথা অনুযায়ী কন্ট্রাক করে তারপর যাওয়া।
যে বয়সে হেসে খেলে বাবা মায়ের আদরে পথ চলার কথা সে বয়সে ওকে পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে বেছে নিতে হয়েছে গার্মেন্টসের চাকুরী! দারিদ্র্যের কষাঘাতে আমাদের শিশুরা হারিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা থেকে অনেক দূরে!
ভাবতে পারেন যে শিশু রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা গার্মেন্টসে কাজ করে সে কিভাবে স্কুল যাবে?
প্রচন্ড মনোবল থেকে সে জানায় "আমি পড়াম ও চাকুরী ও করাম। যহন রাতে ডিউটি তহন দিনে স্কুলে যায়াম,আর যহন দিনে তহন তো যাইতে পারুম না।ম্যাডাম আমারে পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্হা একটু কইরা দিয়েন। "
শিক্ষার্থীর মায়ের ও দাবী একই।
ভুল না শুদ্ধ সূত্র তা আমি জানিনা। কতদিন চলবে এভাবে? পরিবারে চাহিদা পূরণে শরীর নামক ইঞ্জিন টা কতদিন ই চলতে পারবে সব দিক তাল মিলিয়ে??? তবু ও প্রিয় শিক্ষার্থীর জন্য রইল শুভকামনা! প্রতিটি শিশু মুক্তিপাক দারিদ্রতার অভিশাপ থেকে!






  • আরো দেখুন

    কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি