Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

৩০ নভেম্বর, ২০২০ ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ

বাল্য স্মৃতি

বাল্য স্মৃতি 

+++±++++++

সেদিন ছিল শনিবার। কখনো স্কুল কামাই না করলেও সেদিন স্কুলে যাই নাই। কারণ আগের দিন আমার নানু এসেছিলেন বাড়িতে, সাথে ছিল একঝাঁক খালাতো-মামাতো বোন। তাদের সাথে হৈ হুল্লোড় করে সময় কাটছিল। পুকুর পাড়ে গেলে, তালগাছে ডাব দেখে একজন বলে ফেলল ডাব খেতে পারলে ভাল হত। কথাটা আমার মনে বিঁধল ভীষণভাবে। মনেমনে ফন্দি আঁটলাম চমকে দেব সবাইকে। অমনি চুপিচুপি কাঁচি নিয়ে উঠে গেলাম তালগাছে। মাথায় উঠতেই ডগার করাতে কেটে গেল হাঁটুর একটু নিচে। আমলে নিলাম না তা, দপাদপ কেটে ফেললাম দুই পিঁড়ি। এবার দেখলাম,হাঁটুর নিচ থেকে রক্ত ঝরছে 

এবং দুই হাঁটু থরথর করে কাঁপছে। যেমনি করে লটকিয়ে উঠেছিলাম তেমনি নামার সম্ভাবনা আর দেখছি না। তখন দোয়া-দরুদ পড়ছি আর নামার বিকপ্ল পথ খুঁজছি। একবার পুকুরে লাফ দেয়ার কথা ভাবছিলাম। তখনি মনে পড়ল, পুকুরে তো বাঁশের কঞ্চি গাঁড়ানো আছে। বাঁশের কঞ্চি পেটে  ডুকলে নিশ্চিত পিডে দিয়ে বের হবে। এটা ভেবে শিউরে  উঠলাম। বিকল্প হিসাবে চিন্তা করলাম, একটা লম্বা কঞ্চিওয়ালা বাঁশ যদি কেউ গাছের সাথে লাগিয়ে ধরত তবে আমি তরতর করে নেমে যেতে পারতাম। কিন্তু সে গুঁড়েবালি!

আমার জন্য এ কাজ করার মত কাউকেই দেখছি না। তাছাড়া আমার চমকে দেয়ার মত বিষয়টা মলিন হয়ে যাবে। এ সব ভাবতে ভাবতে কখন যে হাঁটুর ঠকঠকানি বন্ধ হয়েছে বলতে পারি না। তবে এ টুকু মনে আছে, দোয়া-দরুদ পড়ে  আল্লাহ'র উপর ভরসা করে লটকিয়ে নামার চেষ্টা করেছিলাম। সে দিন সবাইকে চমকে দিতে পেরেছিলাম কী-না জানি না। এখন তালগাছ নয়, নারিকেল-সুপারী গাছ দেখলেও আমি  চমকে উঠি এবং আমার শরীর শিরশির করে।